দার্জিলিং: জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের কায়দায় পাহাড়ে বিস্ফোরণ। দূরে বসে তার ও ব্যাটারির সাহায্যে দার্জিলিংয়ে আইইডি বিস্ফোরণ। এমনটাই অনুমান গোয়েন্দাদের।
অশান্তির শুরুটা হয়েছিল ৮ জুন থেকে। আড়াই মাসের মাথায় মাঝরাতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ! পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে আসা একাধিক সূত্র মাওবাদী যোগের আশঙ্কাকেই জোরাল করছে!
বিস্ফোরণস্থল লাগোয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮ ফুট লম্বা তার ও ব্যাটারির অংশ।  এটাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, তাঁদের অনুমান, দূরে বসে তার ও ব্যাটারির সাহায্যে শুক্রবার রাতে সুপার মার্কেটের এই রাস্তায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়!
কয়েক বছর আগে জঙ্গলমহলে নাশকতা ঘটাতে এই কৌশলই নিত মাওবাদীরা! পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে গোয়েন্দারা মনে করছেন, আইইডিতে নাইট্রোগ্লিসারিন জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়েছে।  স্প্লিন্টার হিসাবে ১৬ মিলিমিটার রডের টুকরো ও বিয়ারিং ছাড়াও ছিল লোহার ছোট ছোট টুকরো!
আর সে কারণেই তীব্র বিস্ফোরণে ধাতব স্প্লিন্টার বুলেটের গতিতে ছুটে গিয়েছে ৪০ মিটার দূর পর্যন্ত! যার জেরে খানখান হয়ে গিয়েছে জানলার কাচ! ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে দোকানের শাটার!
পাহাড়ে অচলাবস্থা চলাকালীন, দার্জিলিংয়ের পুলবাজারের সরকারি জলবিদ্যুত কেন্দ্র থেকে ২০০টিরও বেশি জিলেটিন স্টিক চুরি হয়। সেগুলিই বিস্ফোরক হিসাবে এই আইইডিতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
ফরেনসিক রিপোর্টে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে দার্জিলিং পুলিশ। শনিবারের পর রবিবারও চকবাজারের বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখে সিআইডি।