বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: ছ’বছরেও শেষ হয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নির্মাণ। সেই কাজ এবার চার মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিলেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায়। শনিবার নির্মীয়মাণ হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সময়সীমা বেঁধে দেন আধিকারিক।
কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। ২০১৯-এ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, এখনও সম্পূর্ণ হয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নির্মাণ। শনিবার নির্মীয়মাণ হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে, ৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাজে গড়িমসির জন্য ইতিমধ্যেই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল নির্মাণের বরাতপ্রাপ্ত দুই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃতীয় একটি সংস্থাকে। সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে এদিন সেটাই দেখতে আসেন আধিকারিক। বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ও বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে।
করোনা প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে একাধিক হাসপাতালে ভিড়ে ছবি দেখা গিয়েছে। এই আবহে রাজ্যের বুকে আরও একটি হাসপাতাল তৈরির কাজ শেষ হলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহলের একাংশ। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের স্পেশ্যাল ডিউটি অফিসার (উত্তরবঙ্গ) সুশান্ত রায় বলেন, চার মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে বলা হয়েছে। যদি কোনও সমস্যা থাকে সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে থাকবে অত্যাধুনিক সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা। কবে চালু হবে নতুন হাসপাতাল, অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা।
এদিকে শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে দার্জিলিং। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৭৯। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৮৭ জনের। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন। জেলায় মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ হাজার ২৪৫।