কলকাতা: মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজের আবেদন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,  তা বিধানসভার অধ্যক্ষকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট।  ওই আবেদন পাওয়ার পর কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সবিস্তারে অবহিত করতে হবে আদালতকে।  মুকুল রায়ের বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)- র চেয়ারম্যান পদ নিয়ে হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যে মামলা চলছে, তার শুনানিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি।      


মুকুল রায়ের বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি ( পিএসি)-র চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায় বিজেপি। আর এই আপত্তি জানিয়ে আদালতে মামলা করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশের কথা জানাল আদালত।


উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরানো দল তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় বিজেপি। গত ১৭ জুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরইমধ্যে মুকুলকে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অম্বিকা রায়।


অন্যদিকে, বিধানসভার পর কলকাতা হাইকোর্ট। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে গতকাল মামলা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূলও। এনিয়ে মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,  মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের শুনানি হলেও  তিন মাস  সময় কেটে গিয়েছে। কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, অধ্যক্ষকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তিন মাস পেরিয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।তৃণমূলের পাল্টা জবাবে বলেছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে শুধুমাত্র বিধানসভার অধ্যক্ষর। প্রয়োজনে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সব মিলিয়ে মুকুল-ইস্যুতে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে।