কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে গতকালই ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছে নবান্ন। তবে, বিধিনিষেধে একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণাও করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের নতুন বিধিনিষেধকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, স্কুল চালু থাকলে সরকারের খরচ হয়। আর বার খোলা থাকলে সরকারের লাভ হয়। বার খোলা থাকলে পার্টির নেতারা মজ-মস্তি করবে। তাই স্কুল বন্ধ করে নির্দিষ্ট সময়ে বার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার তৃণমূল মহাসচিবের বাড়িতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাত ৮টা ২৫ নাগাদ পার্থর বাড়িতে পৌঁছন শোভন-বৈশাখী। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পার্থর বাড়িতে থাকেন তাঁরা।
এরপরই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ঢেউতে অনেকেই এসেছিলেন নিজের মতো করে। আবার তাঁরা নিজের মতো করেই চলে যাচ্ছেন। এতে পার্টির কোনও ক্ষতি হবে না। পার্টির পুরোনো নেতারা একই ভাবে দলের সঙ্গে আছেন।
সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। এই বিতর্কে জগদীপ ধনকড়ের ভূমিকা সমর্থন করে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, এই রাজ্যপাল শুরু থেকেই বুক চিতিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। সেই কারণে তাঁকে অপমানের অনেক চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ।
শীতলকুচি কাণ্ডে ফের কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, আসলে যে অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছিলো, তারা সত্যিটা প্রকাশ করে দিয়েছেন। তাঁদের ফাঁসিতে ঝোলানোর চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, শীতলকুচিকাণ্ডে এবার কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে তলব করল সিআইডি।
গতকাল রাজ্যপালের কাছে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ডাকা হয়েছিল ৩১ জনকে। এসেছিলেন ৫১ জন। কাছাকাছি বিধায়করা এসেছিলেন। করোনা আবহে ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই।