অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা: তৃণমূলে ফিরেই বিস্ফোরক মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। দাবি করলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল। আরও পঁচিশ-তিরিশজন বিধায়ক এবং কয়েকজন সাংসদ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে পারেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায় এবং তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু। বাবা-ছেলেকে পাশে বসিয়েই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে মুকুল রায়কে ভয় দেখানো হয়েছিল।
তৃণমূলনেত্রী শুক্রবার বলেছিলেন, ওর উপর অত্যাচার কম হয়নি। ওকেও বিভিন্ন এজেন্সি দেখিয়ে অনেক সময়েই ভয় দেখানো হয়েছে। দেখতাম শরীর ভালো নেই। মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল।
এবার এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু। বললেন, বাবার ক্ষেত্রে সত্যিই চাপ ছিল। মানসিক চাপ থাকলে শরীর-স্বাস্থ্য কোন জায়গায় যেতে পারে, তা নিজের চোখে দেখেছি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে আগেও চাপ দেওয়া হয়েছে, পরেও হয়েছে। সবটাই নেত্রী জানেন বলেও দাবি করেন শুভ্রাংশু।
এবার বিধানসভা ভোটের প্রচারে তেড়ফুঁড়ে নামেননি মুকুল রায়। প্রচারে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ঝাঁঝালো আক্রমণ করেননি। যা তাঁর তৃণমূলে ফেরার রাস্তা প্রশস্ত করেছে। শুক্রবার মমতা বলেছেন, মুকুল কিন্তু ভোটের সময় কোনও খারাপ কথা বলেনি।
সোমবার শুভ্রাংশু বলেন, ভোটের আগে বাবা খুব আপসেট ছিল। আমাকে বলেছিল তুই জিততে পারবি? প্রচারে বেরোয়নি। যেরকম কাজকর্ম করে, করতে দেখিনি। মানিয়ে নিতে পারছিল না। আমার তো প্রথম থেকেই সমস্যা। বাবা অনেকদিনের রাজনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সমস্যা হচ্ছিল।
মুকুল রায়ের পর বিজেপিতে আরও ভাঙন ধরবে কি না, তা নিয়েও, বিস্ফোরক দাবি করেছেন মুকুল-পুত্র। বলেছেন, পঁচিশ থেকে তিরিশ জন বিধায়ক, দু’জন সাংসদ বেরিয়ে আসতে পারে। তিনি যোগ করলেন, সংখ্যাটা আরও বাড়বে। মুকুল-পুত্রর দাবি, যাঁরা গিয়েছিলেন এবং হেরেছেন, আর যাঁরা ছিলেন এবং জিতেছেন-- চাইছেন বাংলার নেত্রী ভারত শাসন করুন।
বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদলের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। এবার ভোট মিটতে, আরেক দফার দলবদল ঘিরেও সরগরম রাজনীতি।