উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রয়াত সাংসদ সোমেন মিত্রর ছেলে রোহন মিত্র। আজই প্রদেশ নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তার আগেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন রোহন। চিঠিতে সোমেন-পুত্র দাবি করেছেন, ‘অধীর চৌধুরী যোগ্য নেতা। কিন্তু যাঁদের নিয়ে চলছেন, তাঁদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সেই কারণেই কংগ্রেসের এই হাল। বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরেও কংগ্রেসকে নতুনভাবে সাজানোরও কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’


এই কারণেই পদত্যাগ বলে চিঠিতে দাবি করেছেন রোহন। এভাবে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ছেলের পত্র-বোমায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, সোমেন মিত্র প্রয়াত হওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন অধীর।  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে বহরমপুরের সাংসদ অধীরকে যোগ্যতম বলে উল্লেখ করলেও দল পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সোমেন-পুত্র। 


উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে সোমেন-পত্নী শিখা মিত্র ও রোহনের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চৌরঙ্গী আসনে শিখা মিত্রর নামও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শিখা মিত্র জানিয়েছিলেন,  আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কথা না বলে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তার নাম রাখা হয়েছে। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, বিজেপির হয়ে তিনি লড়বেন না।শিখা মিত্রর ছেলে রোহন বলেছিলেন, বাবাকে ছোট করে কিছু করব না। তিনি মৃত্যুকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন।তাই বাবাকে ছোট করে কিছু করব না। আমাদের পরিবার সোমেন মিত্রর পরিবার।


উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বামদলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস। সংযুক্ত মোর্চায় সামিল ছিল আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। কিন্তু ভোটে জোটের ফল একেবারেই হতাশাজনক হয়। আইএসএফের একটি আসন ছাড়া আর কোনও আসনই পায়নি বাম ও কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভায় এই প্রথম কোনও বাম বা কংগ্রেসের বিধায়ক নেই। মালদা ও মুর্শিদাবাদের মতো  ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জেলাগুলিতেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে কংগ্রেসকে।