কলকাতা ও নয়াদিল্লি: ঘটনার পর কেটে গিয়েছে এক মাসেরও বেশি সময়। এখনও অধরা অভিযুক্তরা। ডোমকলে সিপিএম কর্মী খুনে সিবিআই চেয়ে হাইকোর্টে পরিবার। কমিশনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি। আগামী শুক্রবার শুনানি। অন্যদিকে, যে বুথের বাইরে খুনের ঘটনা ঘটে, সেই বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি নিয়ে কমিশনে কংগ্রেস।
গত ২১ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোটের দিন, মুর্শিদাবাদের ডোমকলে একটি বুথের বাইরে খুন হন সিপিএম কর্মী তাহিদুল ইসলাম। নতুনপাড়া প্রাইমারি স্কুলের বুথের সামনে প্রথমে বোমা মেরে ও পরে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর কেটে গিয়েছে এক মাস। কিন্তু এখনও অধরা অভিযুক্তরা। এই প্রেক্ষিতে ঘটনার সিবিআই তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার হাইকোর্টের মামলা দায়ের করে মৃতের পরিবার। নিহতের ছেলে রহিদুল ইসলাম জানিয়ে দেন, পুলিশের ওপর তাঁদের আস্থা নেই। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। আগামী শুক্রবার মামলার শুনানি।
অন্যদিকে, এদিন দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জইদির সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। যে বুথের সামনে খুন হয়েছিলেন সিপিএম কর্মী তাহিদুল ইসলাম, ডোমকলের সেই নতুনপাড়া প্রাইমারি স্কুলে বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার এতদিন পরেও কেন অধরা দুষ্কৃতীরা? মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল বলেই কিছু করছে না পুলিশ।