মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও হংসরাজ সিংহ, দুর্গাপুর: টানা বর্ষণের জেরে জল থই থই দুর্গাপুর ও রঘুনাথগঞ্জ। জলমগ্ন রাস্তা। কোথাও কোথাও বাড়ির একতলা ও দোকানঘরে ঢুকেছে জল। জল দুর্ভোগ নিয়ে দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।কোথাও ঘরের মধ্যে হাঁটু সমান জল। কোথাও আবার কোমর পর্যন্ত জল জমেছে রাস্তায়। রাতভর টানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের দুই জেলায় ফিরল জলযন্ত্রণার ছবি। 


বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পুর এলাকার ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগরপল্লি, রামকৃষ্ণপল্লি, সারদাপল্লি-সহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বহু বাড়ির একতলায় ঢুকে পড়ে জল। একাধিক রাস্তায় এক কোমর পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে যায়। জল ঠেলে যাতায়াত করতে হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা। 


এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, বর্ষার শুরুতেই এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দুর্গাপুর পুরসভার বরো চেয়ারম্যান, রমাপ্রসাদ হালদারের কথায়, বিজেপি এখানে জিতেছে। কিন্তু দুর্ভোগের সময় মানুষের পাশে নেই। নিকাশির জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন থাকায় কাজ ব্যাহত হয়। এক দেড়মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তখন সমস্যা হবে না।


বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই-এর যুক্তি আমি তো একমাস হল বিধায়ক হয়েছি। ওরা তো ২০১৭ সাল থেকে আছে। মানুষের ভোটে তো জেতেনি। বুধ দখল করে জিতেছিল। তার পরিণতি হচ্ছে এইগুলো। এখন মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে।


দুর্গাপুরের পাশাপাশি দুর্ভোগের একই ছবি দেখা গিয়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ব্লকেও। টানা বৃষ্টির জেরে জলবন্দি হয়ে পড়েছেন এখানকারা বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। এখানেও জল থইথই বাড়ির একতলা ও দোকানঘর। রঘুনাথপুরে কিছু জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। ভোগান্তি হয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরেও। 


রঘুনাথপুর পুরসভার প্রশাসক মদনমোহন বরাট জানাচ্ছেন, বেশ কিছু জায়গায় নিয়ম না মেনে নির্মাণ কাজ হয়েছে। তার জন্য জল জমার সমস্যা হচ্ছে। জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতি বর্ষাতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধরা পড়ে জল দুর্ভোগের ছবি। কেন বর্ষার আগেই ঢেলে সাজানো হয় না নিকাশি ব্যবস্থা?