এরশাদ আলম, বীরভূম : শ্বশুরবাড়ির পথে যাতায়াতের রাস্তা সুগম করতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাশ্রমে হাত লাগালেন জামাইরা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি রাস্তা গড়তে কোমর বাঁধলেন জামাইষষ্ঠীতে আসা গ্রামের জামাইরা। ঘটনা বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের ১ নং ব্লকের মল্লারপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালা গ্রামের। জামাইষষ্ঠীর দিনেই শ্বশুরবাড়ির আসার রাস্তা তৈরিতে জামাইদের হাত লাগানোর ঘটনা সামনে আসার পরই রাস্তা সংস্কার সংক্রান্ত ইস্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


গোয়ালা গ্রামের জামাইদের দাবি, গ্রামে আসার পথে এই রাস্তাটা খুবই দরকার। রাস্তাটা অবস্থা খুবই খারাপ। তাই গ্রামের সব জামাইরা মিলে এই রাস্তাটা ঠিক করছি। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও রাস্তার কোনও উন্নতি হয়নি। যার জেরে ব্যহত হয়েছে গ্রামের উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই আমরা জামাই হয়ে যদি রাস্তা সারাইয়ের কাজে লেগে পড়ি তাহলে আরও মানুষ হয়তো বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে আসবে।


স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তার অবস্থা প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। অনেক নেতা-মন্ত্রী এসে দেখে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। জামাইরা যে কাজে করছে এটা আমাদের লজ্জা। বাইরে থেকে এসে তারা কাজ করছে। রাস্তার অবস্থা দেখে বাধ্য হয়ে তারা করছে। এদিকে জামাইয়ের রাস্তা সারাইয়ের কাজে হাত লাগানোর ঘটনা সামনে আসার পরই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি পরিচালিত মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েত ও তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা। দু-পক্ষই একে অপরের দিকে অভিযোগ আঙুল তুলেছে।


মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েতে বিজেপির উপপ্রধান সমীর লোহার বলেছেন, রাস্তাটি জেলা পরিষদের রাস্তা নিয়ন্ত্রণাধীন। দেড় কিলোমিটার জুড়ে থাকা এতবড় মাটির রাস্তা পঞ্চায়েত সংস্কার করতে পারে না।' অপরদিকে তৃণমূল পরিচালিত বীরভূম জেলা পরিষদের কো-মেন্টর ধীরেন্দ্র নাথ বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'এই পঞ্চায়েত দু'বছর বরাদ্দের অর্থ খরচ করতে পারেনি। এই রাস্তা জেলা পরিষদের নয়, পঞ্চায়েতেরই নিয়ন্ত্রণাধীন। যারা কিছু জানে না তারাই মূর্খের মতো কথা বলে।'