মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। চলল ব্যাপক মারপিট। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর থানার স্টিল টাউনশিপ এলাকায়। প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বর্তমান ওয়ার্ড সভাপতির দুই গ্রুপ এর সংঘর্ষ। এই ঘটনার জেরে আহত হন বেশ কয়েক জন। ওয়ার্ড সভাপতি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। খেলা হবে দিবস এর অনুষ্ঠান হওয়ার পরেই এই হামলা হয়। ঘটনায় পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে।
কিছুদিন আগেই গোঘাটে তৃণমূলের হাতেই আক্রান্ত হতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে। কর্ম্যাধক্ষের উপর হামলার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও পরে তাঁদের জামিন দিয়েছে আদালত। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন ঘটনায় যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে দলই।
এর আগেও রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ছবি ধরা পড়েছিল। উপ নির্বাচনের আগে দিনহাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ঘিরে পার্টি অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তির ছিল তৃণমূল প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি নাজিরহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলীয় সদস্যরা। দল থেকেও প্রধানকে ১০ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়। অভিযোগ, নাজিরহাটে তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর ও দলীয় কর্মীদের মারধর করেন প্রধান ও তাঁর স্বামীর অনুগামীরা। প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় প্রধানের বিরোধী গোষ্ঠী। যদিও হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধান।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ দেখা গিয়েছিল। তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। দলীয় কার্যালয় থেকে তৃণমূল নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মার। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল শাসক দলের দুই শিবির। আহত হয়েছিলেন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামাতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। সংঘর্ষের ঘটনায় আটক করা হয়েছিল ৯ জনকে।