মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ‘প্রতারণা’। অন্যের নথি দিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকে ঋণ নিয়ে টাকা লোপাটের অভিযোগ। বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যার বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের বিধাননগরে অভিযুক্তের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামীকে ব্যাপক ভাঙচুর, মারধর করে উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর করা হয় অভিযুক্তের স্বামীর বাইক। উত্তেজিত জনতার মধ্য়ে থেকে অভিযুক্তর স্বামী ও মা-কে উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক অভিযুক্ত অপর্ণা দাঁ।


দুর্গাপুরের পর বেলঘরিয়াতেও একই ছবি। ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেখানেও। অভিযুক্তদের ধরে বেধড়ক মারধর চলে এ দিন। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। প্রতারণায় অভিযুক্ত ৫ জনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। 


এখানেই শেষ নয়। গতকালই সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। জানা যায় বিয়ের বহু দিন পর আট জন মহিলার অ্যাকাউন্টে পড়েছে রূপশ্রীর টাকা। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার লোপাটের অভিযোগ ওঠে বীরভূমের নলহাটিতে। ৮ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিডিও। 


‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে দরিদ্র পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদের বিয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের আগেই সেই টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। কিন্তু  অভিযোগ, বীরভূমের নলহাটির আট জন মহিলা আবেদন না করা সত্ত্বেও, ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।


তাঁদেরই একজন সমাপ্তি দাস। তিনি নলহাটির নপাড়ার বাসিন্দা। চার বছর আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মহিলার অভিযোগ, আবেল শেখ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি অর্ধেক টাকা ভাগাভাগির শর্তে তাঁকে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন।


ঘটনাটি প্রথম সামনে আনেন মাইরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা কারা পাচ্ছেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে তা জানতে চান তিনি। এরপরই সামনে আসে বিষয়টি। 


সবমিলিয়ে রাজ্যে ভুরি ভুরি প্রতারণার অভিযোগ উঠছে। কখনও সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে। কখনও আবার সরকারি আধিকারিক সেজে। রবিবারই ভুয়ো পুলিশের খোঁজ মেলে ভক্তিনগর থানার কাছে। ঘটনায় সিকিমের দুই বাসিন্দা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি বোলোরো গাড়ি, ডাক্তারের সিলমোহর ও কিছু কাগজপত্র।


শনিবার রাত বারোটা নাগাদ ভক্তিনগর থানার কাছে সিকিম যাওয়ার পথে সাত মাইল থেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গাড়ি থেকে টাকা তোলার অভিযোগ আসে। তৎক্ষণাৎ ভক্তিনগর থানার আইসি ঘটনাস্থলে পুলিশ ভ্যান পাঠিয়ে পুলিশ লেখা বোলেরো গাড়ি সমেত চার জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দুইজন সিকিমের বাসিন্দা ও বাকি দুইজন শিলিগুড়ির শালুগাড়ার বাসিন্দা।