ঋত্বিক প্রধান, দিঘা: করোনা আবহেও কলকাতা, শিলিগুড়িতে হোটেলে বিধি ভেঙে নাইট-পার্টির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটেই দিঘার বিভিন্ন হোটেলে রাতে পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালালেন রামনগরের বিডিও বিষ্ণুপদ রায়। দু’টি হোটেলের রেজিস্টার খাতায় গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। কোভিড রিপোর্ট ও ভ্যাকসিনেশন রিপোর্ট না থাকা সত্ত্বেও বেশকিছু পর্যটকদের রাখার অভিযোগ উঠেছে এই দুই হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিধি না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা। কড়া বার্তা বিডিওর।


পুলিশ সূত্রে খবর, একজনের নামে রিপোর্ট করা হলেও রয়েছেন অন্য একজন পর্যটক। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের তরফে জারি করা হচ্ছে নোটিশ। এমনকী করোনা বিধি না মানার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ ওই দুটি হোটেলে পর্যটকদের কোভিড রিপোর্ট বা টিকার দুটি ডোজ়ের রিপোর্ট দেখা হচ্ছে না।  রিপোর্ট না দেখেই পর্যটকদের হোটেলে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালায় প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, আজকে নোটিশ জারি করা হবে। প্রয়োজনে বন্ধ করা হতে পারে এই দুটি হোটেল।


করোনার সংক্রমণ সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসতেই দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুরে ফের ভিড় বাড়তে শুরু করে পর্যটকদের। কিন্তু, অধিকাংশ পর্যটকই অসচেতন ও উদাসীন। সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই করোনাবিধি উড়িয়ে সমুদ্র সৈকতে দেদার ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় অধিকাংশ পর্যটকদের। এই অবস্থায় নতুন বিধিনিষেধ জারি করে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। বলা হয়, এবার থেকে হোটেলে রুম ভাড়া নিতে হলে থাকতে হবে কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট। অথবা নিতে হবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। তবেই মিলবে রুম নইলে নয়।


কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে পর্যটকদের ভিড়। বারবার বলা সত্ত্বেও বালাই নেই করোনা বিধি মানার। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, সঙ্কট এখনও কাটেনি। করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার সমুদ্র সৈকতে বিধিভঙ্গের ছড়াছড়ি। তাই এবার কড়া ভূমিকায় প্রশাসন। এদিকে নিয়মভঙ্গের জেরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৩০ জন পর্যটককে আটক করা হয়।