বিজেপির বাইক মিছিল লক্ষ্য করে মুহূর্মুহু ইটবৃষ্টি। বাঁশ-লাঠি নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যাচ্ছে বিজেপি-তৃণমূল দু’পক্ষ। গন্ডগোলের রেশ গিয়ে পড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের উপর। ভাঙচুর করা হয় কার্যালয়। একে অপরের দিকে তেড়ে যাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা। ভারতী ঘোষকে ঘিরে নিয়ে এলাকা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনই ছবি ধরা পড়ল। বিজেপির বাইক মিছিলে বাধাদান ঘিরে ধুন্ধুমার। তৃণমূল-বিজেপি মুখোমুখি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর।
একে অপরের বিরুদ্ধে লাগাতার ইটবৃষ্টি। অভিযোগ, ইটের ঘায়ে আহত হয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি মিলিয়ে মোট ৬ জন কর্মী। রবিবার ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে হেঁড়িয়া থেকে ভূপতিনগর পর্যন্ত বাইক মিছিল করে বিজেপি। মিছিল শেষে ছিল পথসভাও। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের বাইক মিছিল জুখিয়া বাজারের কাছাকাছি এলে আচমকাই তৃণমূলের লোকজন ইট ছুড়তে থাকে। প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘এইভাবে মারামারি করে আমাদের কখনও আটকানো যায়নি আর ভবিষ্যতেও আটকানো যাবেও না।’ তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বাইক মিছিলে গণ্ডগোলের পরই স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালায় উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা। যদিও তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় শাসকদলের অন্তর্কলহকেই দায়ী করেছে গেরুয়া শিবির।
পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল সম্পাদক কনিষ্ক পাণ্ডা বলেছেন, ‘এই গণ্ডগোলের সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। ওরা নিজেদের ঝামেলা আমাদের ঘাড়ে চাপাতে আমাদেরই পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে।’ স্থানীয় সূত্রে খবর, এরপরই তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলের কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় কিছু বাইক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ভূপতিনগর ও খেজুরি থানার পুলিশ।
ইটবৃষ্টিতে আহত বিজেপির ৪ ও তৃণমূলের ২ জন কর্মী। ভূপতিনগরের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ভগবানপুরের বিধায়কের দাবি, জুখিয়া বাজারে রবিবার বিজেপির সভার পরে তৃণমূলের সভা করার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে সভা শেষ করলে ঝামেলা বাধে। এমনকী বাইক মিছিল করার সময় বিজেপি কর্মীরাই তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা চালায়। রবিবার সন্ধেয় ভাঙচুর হওয়া দলীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয় তাঁরা। এলাকায় পুলিশি টহলদারি চললেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।