কলকাতা: লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে চিঠি দিল পূর্ব রেল। তবে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে এখই সেই ছাড়পত্র দিতে রাজি নয় সরকার। এর আগেও গত ১৩ জুন একই অনুরোধ জানিয়ে রাজ্যকে রেল চিঠি দিয়েছিল।
রেলের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার বাধে শিয়ালদা-বারুইপুর শাখার মল্লিকপুর স্টেশনে। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। বুধবার একই দাবিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সোনারপুর স্টেশন। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে এদিন ফের রাজ্যকে চিঠি দিল রেল।
সূত্রের খবর, সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, স্টাফ স্পেশালে বিভিন্ন পেশার লোকজন উঠছেন। ফলে ভিড় বাড়ছে। কোভিড বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আরও বিভিন্ন মানুষজন ট্রেনে যেতে চাইছেন। যার জন্য মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্কলার সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই রাজ্য যদি অনুমতি দেয়, তাহলে লোকাল ট্রেন স্বাভাবিক করা দরকার।
রেলের এই প্রস্তাব মানতে রাজ্য এখনই রাজি নয় এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, আগে কোভিড কমাতে দিন। এসবে সমস্যা হবে, এটা তো জানা কথা। এখন রেল চালালে দুনিয়ার লোকের কোভিড হবে। তাও তো দোকানপাট চালু করা আছে। অনেক জায়গায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম হচ্ছে। সব্জি বিক্রেতারা গাড়িতে করেও আসতে পারছেন।
করোনা আবহে রাজ্যে ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যত লকডাউন। বন্ধ লোকাল ট্রেন। কর্মীদের জন্য স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। সেই স্টাফ স্পেশালে রেলের কর্মী ছাড়াও স্বাস্থ্য, ব্যাঙ্ক, পুরকর্মীরাও যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন। সেই স্টাফ স্পেশালেই উঠতে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ সাধারণ যাত্রীদের। যাকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যে অশান্তির ঘটনাও ঘটছে।
এ বছর প্রথম দফার কার্যত লকডাউনের মেয়াদ ফুরনোর আগে, গত ১৩ জুন পরিষেবা স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিল পূর্ব রেল। বৃহস্পতিবারও প্রায় একই বয়ানে চিঠি দিল রেল।