কলকাতা: আজ দিল্লিতে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।  রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দল যে সব মতামত জানিয়েছে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। সেইসঙ্গে কোভিড বিধি মেনে উপনির্বাচনের প্রচারের গাইডলাইন কী হবে, তা নিয়েও পর্যালোচনা হওয়ার কথা বৈঠকে।


পুজোর আগেই কি এরাজ্যের ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে বকেয়া ভোট হয়ে যেতে পারে? সূত্রের খবর, গত বুধবার কার্যত এভাবেই রাজ্য সরকারকে তৈরি থাকতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। গত বুধবাক বকেয়া ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে দু’টি ভার্চুয়াল বৈঠক করে কমিশন। সূত্রের খবর, প্রথম বৈঠকে সিইও-র দফতর থেকে এরাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য নেয় কমিশন। কবে ভোট করানো যায়, সেই প্রশ্নও করা হয়।


সূত্রের খবর, সিইও-র দফতর থেকে জানানো হয়, ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর রাজ্যে পুজোর ছুটি। তখন ভোট করানো সম্ভব নয়। তাই সেপ্টেম্বরে ভোট করানো যেতে পারে।


কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক হয় রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন উপ নির্বাচন কমিশনার উমেশ সিন্হা।সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়াও চলছে।পুজোর আগেই ভোট করাতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার।


নবান্ন সূত্রের খবর, বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড় থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন মুখ্যসচিবের সঙ্গে। নির্বাচন কমিশন কী জানিয়েছে, তা বিস্তারিত জেনে নেন মুখ্যসচিবের কাছে।


যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেগুলি হল, ভবানীপুর,খড়দা,গোসাবা,শান্তিপুর এবং দিনহাটা। আর প্রার্থীর মৃত্যুতে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি। এই দুই কেন্দ্রেও ভোট বাকি। ৫ নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, সংবিধানে বলা আছে ৬ মাসের মধ্যে ভোট হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনের উচিত, টালবাহানা না করে ভোটটা করানো। বিজেপি মনে রাখুন, মোদির মুখকে বাতিল করেছে বাংলার মানুষ।


অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, এখন কোভিডের দাপট রয়েছে।  তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে, বাচ্চারা আক্রান্ত হতে পারে, মুখ্যমন্ত্রী তো লোকাল ট্রেন চালাচ্ছে না। 


করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভোট করানোর দাবিতে সরব বামেরা। রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, এই মুহূর্তে এটা স্ব-বিরোধিতা হয়ে যাচ্ছে। একদিকে ট্রেন চলছে না, স্বাভাবিক জনজীবন হয়নি, মিটিং-মিছিল নিষিদ্ধ, স্কুল বন্ধ, এর মধ্যে নির্বাচন চাওয়া হচ্ছে। পুরসভার ভোট বাকি, এটা তো স্ববিরোধিতা হচ্ছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরলে নির্বাচন চাওয়া হবে।


শেষমেশ পুজোর আগেই কি সাত কেন্দ্রে বকেয়া ভোট হবে? উত্তর দেবে সময়।