শান্তনু নস্কর, গোসাবা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে গুরুতর আহত মৎস্যজীবী।আহতের নাম সুদর্শন সরদার।আহতকে উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।গত কয়েক দিন আগে গোসাবার সোনাগা গ্রাম থেকে পাঁচ জন মৎসজীবীর একটি দল জঙ্গলে মাছ ধরতে যায়। গতকাল  সকালে ঝিলার জঙ্গলের কাছে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে একটি বাঘ নৌকার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ও মৎস্যজীবী সুদর্শনকে ঘাড়ে ও পায়ে কামড় দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গেই  তাঁর অন্যান্য সঙ্গীরা বাঘের সঙ্গে লড়াই শুরু করে দেন। তাঁদের মরিয়া লড়াইয়ে অবশেষে সুদর্শনকে ছেড়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায় বাঘটি। এরপর বনদফতরকে খবর দেওয়া হলে বনকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে। গোসাবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য  কেন্দ্রে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে ওই মৎস্যজীবীকে।


উল্লেখ্য,  কিছুদিন আগেই সুন্দরবনে  বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছিল উত্তর ২৪পরগণার এক মৎস্যজীবীর।  সন্দেশখালির খড়িয়াহাট গ্রাম থেকে গত বুধবার পাঁচজনের একটি মৎস্যজীবি দল নৌকা নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন বিকেল চারটে নাগাদ সুন্দরবনের বাগনা এলাকায় নৌকা রেখে মাছ ধরতে নামেন ৩৬ বছরের অন্ন দাস। বাকি সঙ্গীরা নৌকাতেই ছিলেন। কারণ,  তখন ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল। এরইমধ্যে হঠাৎ করে জঙ্গলের ভিতর থেকে বাঘ বেরিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্ন দাসের উপর। তাঁকে মুখে করে জলে লাফ দেয় রয়্যাল বেঙ্গল। অন্ন দাসের সঙ্গী সাধু মালি সহ বাকিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘের উপর লাঠি দিয়ে আঘাত ও চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে বাঘ অন্ন দাসকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গীরা তাঁকে জল থেকে নৌকায় তুলে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে অন্য দাসের মৃত্যু হয়ে গিয়েছিল।  অন্য দাসের বাড়ি সন্দেশখালি বয়ারমারি ১-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িয়াহাট গ্রামে।পুলিশ ও বন দফতর মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমর জন্য পাঠায়। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানিয়েছিলেন, নিহত মৎস্যজীবীর পরিবার যাতে সরকারি সাহায্য যাতে পায় সেই ব্যবস্থা করবেন।