অনেকে বলছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সাত পুরসভার নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলির কাছে যেমন পরীক্ষা, তেমনই পরীক্ষা রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও। বিরোধীদের প্রশ্ন, এবারও ভোটে অশান্তি হবে না তো? অবাধ ভোট কি সুনিশ্চিত করতে পারবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন?
গত মে মাসেও রাজ্যের সাতটি পুরসভায় ভোট হয়। সেই ভোটেও দেখা গিয়েছি বাহুবলীদের দাপাদাপি। এত কিছুর পরেও বিরোধীদের অভিযোগ শোনার প্রয়োজন পর্যন্ত বোধ করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহ! শোনা তো দূরে থাক, দেখাটুকুও করেননি! এবারও সেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনাতেই আরও সাতটি পুরসভায় ভোট।
এবার প্রচারপর্ব থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির শুরু। কোথাও বিরোধী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি-বোমাবাজির অভিযোগ, কোথাও আবার মিছিলে বাধা। কখনও আবার হুমকি। এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীদের আশঙ্কা, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ কড়া ব্যবস্থা না নিলে, এবারও ভোটে অশান্তি রোখা যাবে না।
তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের আশঙ্কাকে আমল দিচ্ছে না। তাঁদের দাবি, হার নিশ্চিত বুঝেই মিথ্যে অভিযোগ করছে বিরোধীরা।
এই চাপানউতোরের মধ্যে অবাধ ভোট কি সুনিশ্চিত করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? বিরোধীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গুজরাতে রাজ্যসভার ভোটের দিন অরুণ জেটলি থেকে শুরু করে হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে হাজির হন। কিন্তু তারপরেও বিক্ষুব্ধ দুই কংগ্রেস বিধায়কের ভোট বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অচল কুমার জ্যোতি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটাই হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, দৃঢ়তা। তারা একমাত্র সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ, কোনও শাসকের কাছে নয়। এ বঙ্গের রাজ্য নির্বাচন কমিশন কি নিরপেক্ষতার এমন উদাহরণ তৈরি করে সুষ্ঠুভাবে পুরভোট করাতে পারবে? অমরেন্দ্রর নেতৃত্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ কি পারবে নির্বিঘ্নে পুরভোট করাতে? উত্তর পেতে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।