কাটোয়া: দু’লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকার অভিযোগ। কাটোয়ায় বিএসএনএল দফতরের বিদ্যুৎ‍ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ব্যাহত ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস সহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা। নোটিস ছাড়া লাইন কাটা হয়েছে বলে দাবি বিএসএনএল আধিকারিকের। নিয়ম মেনেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, পাল্টা দাবি বিদ্যুৎ দফতরের।


আছে বাল্ব, টিউব, কিন্তু জ্বলছে না। ঘুরছে না পাখা। কাজ চলছে মোমবাতি জ্বালিয়ে। এ ছবি কাটোয়ার BSNL দফতরের। বিল বকেয়া থাকার অভিযোগে লাইন কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। BSNL দফতর বিদ্যুৎহীন হয়ে যাওয়ায় কাটোয়া টেলিফোন ডিভিশনের অধীনে থাকা ৩২টি এক্সচেঞ্জ সহ মহকুমার বিভিন্ন সরকারি দফতরে বন্ধ টেলিফোন পরিষেবা। ব্যাটারির মাধ্যমে শুধুমাত্র মোবাইল পরিষেবা কোনওরকমে চালু রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ দফতরের জেলা আধিকারিকের দাবি,  ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা বিল বাকি রয়েছে। তাই সমস্ত নিয়ম মেনে লাইন কাটা হয়েছে। যদিও বিএসএনএলের দাবি, নোটিস না দিয়ে লাইন কাটা হয়েছে। কাটোয়া বিএসএনএলের আধিকারিক রাণা চৌধুরী বলছেন, ‘নোটিস না দিয়ে লাইন কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। সমস্ত পরিষেবা বন্ধ। ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে পোস্ট অফিস, সর্বত্র কাজে অসুবিধা হচ্ছে।’

বিএসএনএল দফতর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রভাব পড়েছে পোস্ট অফিস সহ জেলার ব্যাঙ্ক পরিষেবায়। বন্ধ কাটোয়ার বেশ কয়েকটি এটিএম। কাটোয়ার ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ম্যানেজার মানব বৈদ্য বলছেন, ‘বিএসএনএল লাইন নেই বলে সমস্যা হচ্ছে কাজ করতে। আমরা বিএসএনএলকে টাকা দিই। ওরা টাকা না দিলে আমরা কেন ভুক্তভোগী হব।’

যদিও ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষেই সওয়াল করেছেন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক। কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘ওদের উচিত তাড়াতাড়ি টাকা দিয়ে ঠিক করে নেওয়া। টাকা না দিলে BSNL-ও লাইন কেটে দেয়। বিদ্যুৎ দফতর ভুল করেছে নাকি।’

২০১৮ সালে একই কারণে এই BSNL দফতরের লাইন কেটে দেয় বিদ্যুৎ দফতর। ২ বছর পর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।