কলকাতা: আবার মর্নিং ওয়াক। আবার বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার দিলীপ মেদিনীপুরে এগরায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে উঠে এল ফের 'ভাইপে কটাক্ষ'। সেই সঙ্গে তিনি আক্রমণ শাণালেন ডেঙ্গি-করোনা ইস্যুতেও।

দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, 'সরকার করোনা, ডেঙ্গি লুকিয়ে রাখছে। বছরের শেষে করোনার পাশাপাশি, তৃণমূলও বিদায় নেবে।'

আগেও বলেছিলেন, আজ আবারও বললেন, কাঁথি থেকে তৃণমূলের মুষলপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে উঠলে চাঁচাছোলা ভাষায় দিলীপ বললেন, তিনি তৃণমূলে থাকলে থাকলে কর্মচারী হয়ে থাকতে হবে। নেতা হতে হলে আসতে হবে বিজেপিতে।

যদিও এই ইস্যুতে দিলীপকে বিঁধে ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, 'আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্বিত।'
যাঁরা ভাবেন কর্মচারী হয়ে আছেন, তাঁদের 'ধান্দাবাজ'বলে খোঁচা দেন তিনি।

শুভেন্দু প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, উনি বলছেন যুব নেতার মুখ দেখব না। এখনও তো লাইনে অনেকে আছে। কটাক্ষ দিলীপের।

ফের ঘুরে ফিরে মেদিনীপুরে দিলীপের মুখে আবারও ভাইপো-কটাক্ষ। তিনি বলেন, 'ভাইপোর পিছনে কনভয় কেন? সে কি লাটের বাট? কোলে চড়ে নেতা হয়েছে। নাম না করে ফের ভাইপো-কটাক্ষ দিলীপের। ' এখানেই থামেননি দিলীপ। বলেন, 'তিনি আগে দিদি ছিলেন। এখন পিসি বা ঠাকুমা হয়েছেন। মমতাকে খোঁচা দিলীপের।'

অন্যদিকে এগরায় দিলীপ ঘোষের চা-চক্রে বক্তব্য রাখার পর বসে যায় দিলীপ ঘোষের মঞ্চ। কোনওমতে দুর্ঘটনা এড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তবে কেউ আহত হননি। তবে সঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, 'এখন মঞ্চ বসছে। এরপর সরকার বসে যাবে।'

শনিবার রামনগরে দিলীপ ঘোষের সভাস্থলের কাছে তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ, থানা ঘেরাও কর্মসূচি তৃণমূলের। শনিবার দুপুরে রামনগরে সভা করার কথা বিজেপি রাজ্য সভাপতির। তার আগে সভাস্থলে কাছেই তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। রামনগর থানা ঘেরাও করা হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ-ঘেরাও ওঠে। বিজেপির দাবি, দিলীপ ঘোষের সভা ভণ্ডুল করতেই তৃণমূল এই ঘটনা ঘটায়।