তারকেশ্বর: হুগলি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক। বৃহস্পতিবারের এই বৈঠক থেকেই চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত ওরফে তপন মজুমদারকে রীতিমতো ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ হুঁশিয়ারি, কাট মানি খাওয়া চলবে না।


ঝাঁঝালো ভাষা! সরাসরি আক্রমণ। দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দেওয়া! প্রশাসনকে কড়া হতে নির্দেশ দেওয়া। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যখন এই রূপে তখনই উঠে দাঁড়ান টেকনোম্যাক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটের কর্ণধার রফিকুল হানা! সরাসরি তোলাবাজির অভিযোগ করেন! একজন শিল্পপতির কাছ থেকে সরাসরি তোলাবাজির অভিযোগ শুনে আরও চটে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন ঝামেলা করছে। এ সব চলবে না। সুকেশকে (পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন) দায়িত্ব দিচ্ছি। তপন দাশগুপ্ত, তপন মজুমদারকেও বলছি, এ দের গার্ড করতে আসবেন না।’

দু’দিন আগেই ব্যারাকপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে টিটাগড়ের এক শিল্পপতিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছিলেন অবৈধভাবে তাঁর জমি কব্জা করা রাখা হয়েছে। এরপরই পুরপ্রধান থেকে থানার ওসি সবাইকে হুঁশিয়ারি দেন মমতা।

রাস্তা তৈরি হোক কিংবা নদীতে বাঁধ দেওয়া! দুর্নীতির ঝুরি ঝুরি অভিযোগ ওঠে অহরহ! এক রাস্তা এক বছর চলতে না চলতেই তাতে মেরামতির প্রয়োজন হয়! আবার বর্ষার সময় বাধ দিতে গিয়ে নদীতে বোল্ডার ফেলায়, ভেসে যায় বোল্ডার, জলে যায় টাকা! অভিযোগ, সবটাই হয় কাটমানির জন্য। এই প্রেক্ষাপটে এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতার গলায় সতর্কবার্তা। তাঁর সাফ কথা, নিজেরা কাজ না করলে রাস্তা তো খারাপ হবেই। নেতারা ওপর চালাকি বন্ধ করুন।

সাম্প্রতিককালে বার বার দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য দেখেছে হুগলি। কখনও বোমা পড়েছে, কখনও ঘরে ঢুকে খুন। অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে বখরা নিয়ে গণ্ডগোল। আর এই প্রেক্ষাপটেই মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সুর! কিন্তু বিরোধীরা বলছে, এসবই লোক দেখানো। শাসক আবার বলছে, রাজধর্ম! সাধারণ মানুষ বলছে, আগামী দিনেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে, কে সত্যি বলছে, আর কে মিথ্যা।