পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। রাহুল সিংহর খোঁচা, ‘মমতাই তো সব ঠিক করে দিচ্ছে। উনিই তো ঠিক করে দিচ্ছেন রামনবমীর দিন মিছিল বের হবে কি না, কত বড় অস্ত্র নেওয়া যাবে। চাষের খেতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গরু পাচারের চক্র বন্ধ হচ্ছে বলে গায়ে লাগছে। গরু পাচারের টাকা গায়ে লাগছে বলে গাত্রদাহ।’
এবার রাজ্য জুড়ে রামনবমী করেছে গেরুয়া শিবির। অস্ত্র হাতে রামনবমীর মিছিলে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এ ভাবে অস্ত্র মিছিলের সমালোচনায় প্রথম দিন থেকেই সরব তৃণমূল। এ নিয়ে এ দিনও বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বিজেপি আন্দোলনের নামে তরোয়াল নিয়ে ঘুরছে। তরোয়ালের প্রতিযোগিতা চলছে। তরোয়াল ঘুরিয়ে দাপানোর চেষ্টা করছে। বহিরাগত সংস্কৃতির আমদানি করছে। বাংলায় তোমাদের স্থান নেই। আমাদের সরকার সবার জন্যে কাজ করছে।’
এ নিয়েও পাল্টা কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়। রাহুল বলেছেন, ‘তরবারির প্রতিযোগিতা আমরা করছি না। মহরমে যখন মুসলিম ভাইরা বের হয়, তখন চোখে পড়ে না? ওইটা দেখতে পান না, সেইটা দেখতে পান কী করে?’
হুগলির প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতার অবশ্য সাফ নির্দেশ, হিংসার ঘটনা ঘটলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। ‘টেক স্ট্রং অ্যাকশন। দাঙ্গা করলেই দু পক্ষকে মন দিয়ে পেটাবেন।’
উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের পর থেকেই বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। এখন তাদের পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। পাল্টা তৃণমূলও পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে নামছে। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল-বিজেপি তরজা আরও তীব্র হল।