অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: আজ, ১৬ অগাস্ট, রাজ্যজুড়ে শুরু হল তৃণমূলের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। তবে প্রথম দিন বিশেষ নির্বিঘ্নে কাটল না। একাধিক জেলার মতো চরম অব্যবস্থার ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরেও।


‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের প্রথম দিনেই চরম অব্যবস্থা, ফর্ম পেতে হুড়োহুড়ি শুরু করেন সাধারণ মানুষ। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকর্মীদের। স্বভাবতই উপচে পড়া মানুষের ভিড়ে শিকেয় ওঠে করোনা বিধি। তার উপর প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। লাইনে ধস্তাধস্তির মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন একের পর এক মহিলা। সোমবার, প্রথম দিনের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাড়ুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে দেখা গেল এমনই চিত্র।


সোমবার, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে ফর্ম তুলতে হাজির হন কয়েক হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ফর্ম বিলি হলেও, সবচেয়ে লম্বা লাইন পড়ে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ কাউন্টারে। সেখানে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মহিলাদের মধ্যে। প্রথমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য মোট চারটি কাউন্টার খোলা হয়, কিন্তু চাহিদা বাড়তে থাকায় পরে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়িয়ে ছয়টি করে দেওয়া হয়। তারপরেও ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়।


দীর্ঘক্ষণ ফর্মের লাইনে দাঁড়িয়ে হুড়োহুড়ি, ধস্তাধস্তি করে এদিন প্রায় ৬ জন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এঁদের মধ্যে কয়েকজন  তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পাঠাতে হয়। লাইনে অপেক্ষারত মহিলাদের দাবি, ‘ফর্ম বিতরণের দিন আরও বাড়ানো হোক।’


এদিন বাড়ুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখে করোনা দাপট যে এখনও কমেনি তা বোঝার উপায় ছিল না। কয়েক হাজার মানুষ গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, বেশিরভাগের মুখেই ছিল না মাস্কটুকুও। লাইনে দাঁড়িয়ে মহিলাদের দাবি, ‘সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি, তবুও ফর্ম পাওয়া যাবে কিনা বুঝতে পারছি না।’ শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ গোপাল দে জানান, তাঁরা অনুমান করতে পারেননি যে এই পরিমাণে ভিড় হবে। ফলে পরের দিকে কাউন্টারের সংখ্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়।