কলকাতা:  নরেন পাণ্ডের কাছ থেকে মিলল নয়া তথ্য! টাকা দিয়ে তিনি কিনেছিলেন এমডি ডিগ্রি!! জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন নরেন বলে দাবি করল সিআইডি।
হেফাজতে থাকা জাল ডাক্তার নরেন পাণ্ডেকে লাগাতার জেরা করছে সিআইডি। গোয়েন্দাদের দাবি, যত সময় গড়াচ্ছে, ততই হাতে আসছে নতুন নতুন তথ্য।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরার মুখে নরেন পাণ্ডে জানিয়েছেন, বেলভিউতে কাজ করতে গেলে এমডি ডিগ্রি লাগে। তাই ওই ডিগ্রি পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ইউনানি কাউন্সিলের এক পিওনকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ওই ডিগ্রি হাসিল করেন। সেই ডিগ্রির মাধ্যমেই বেলভিউ হাসপাতালে ২০১৪ থেকে চিকিৎসা করছিলেন নরেন পাণ্ডে।
সিআইডির দাবি, নরেন আরও জানিয়েছেন, ইউনানি কাউন্সিলের সেই পিওন এখন আর বেঁচে নেই। ধৃত চিকিৎসকের দাবি খতিয়ে দেখতে, কলকাতায় ইউনানি কাউন্সিলের অফিসে যোগাযোগ করছে সিআইডি।
পাশাপাশি, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, তাঁরা জানতে চেয়েছেন, নামের পাশে নরেন পাণ্ডে যে সব ডিগ্রির উল্লেখ করতেন, সেগুলি তিনি কীভাবে পেলেন?
এদিকে, জাল ডাক্তার বিতর্কে বাতিল হয়ে গেল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে কনফারেন্স। শনিবার মেডিক্যাল কলেজ অডিটোরিয়ামে হওয়ার কথা ছিল এই সম্মেলনের। কিন্তু, সেখানে বক্তার তালিকায় নরেন পাণ্ডের নাম থাকায় শুরু হয় বিতর্ক। সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আপলোড হওয়া সম্মেলনের নির্ঘণ্ট নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হইচই।
বিতর্কের মুখে, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হয় পোস্টটি। আইএমএ-র কর্তা নির্মল মাজি বলেন, অনমুতি না নিয়েই ওই তথ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আপলোড করা হয়েছে। তার জেরে সম্মেলন বাতিল করার কথা বলেছি। কে নরেন পাণ্ডেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, আমরা তদন্ত করে দেখব।
এছাড়াও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে খবর, জাল ডাক্তারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সব সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালের চিকিত্সদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলই এই নম্বর যাচাই করবে। নতুন, পুরনো সব চিকিৎসকের ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক হবে। এ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অন্তত ৫০০ জাল চিকিৎসক ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছেন বলে নবান্নকে রিপোর্ট দিয়েছে সিআইডি।