কলকাতা: কোভিশিল্ডের আড়ালে অ্যামিকাসিন-৫০০ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কসবার দেবাঞ্জনের অফিস থেকে মিলল কোভিশিল্ডের ফেক লেভেল। শুধু তাই নয়, দেবাঞ্জনের কম্পিউটারেও পাওয়া গেল ফেক লেভেল। অ্যামিকাসিন-৫০০ ইঞ্জেকশনের ওপর লাগানো হত কোভিশিল্ডের লেভেল। 
ওষুধের দোকান থেকে কেনা হত অ্যামিকাসিন-৫০০ ইঞ্জেকশন। জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে দোকান থেকে অ্যামিকাসিন॥ কিনত দেবাঞ্জন। এমনটাই দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যে সিটি কলেজে ভুয়ো ক্যাম্প নিয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কসবার সঙ্গে সিটি কলেজের মামলারও তদন্ত করবে লালবাজার। 


কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে দেওয়াই হয়নি করোনার ভ্যাকসিন।  ভুয়ো কেন্দ্রে দেওয়াই হয়নি কোভিশিল্ড কিংবা কোভ্যাক্সিন। যা নিয়ে ইতিমধ্যে ওই কেন্দ্রের ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, কোনও ভায়ালেই ছিল না ব্যাচ নম্বর, এক্সপায়ারি ডেট। কোনও ভায়ালেই ছিল না ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট। করোনার ভ্যাকসিনের মতো দেখতে ভায়ালে ভ্যাকসিনেশন। কসবা প্রতারণা কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি কলকাতা পুরসভার। করোনার ভ্যাকসিনের বদলে কোনও পাউডারে জল মিশিয়ে ভ্যাকসিনেশন। প্রাথমিক তদন্তে এমনই মনে করছেন পুরসভার স্বাস্থ্য কর্তারা। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সিএমওএইচ রণিতা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন,  কোনও ভায়ালেই ছিল না ব্যাচ নম্বর, ম্যানুফ্যাকচারিং অথবা এক্সপায়ারি ডেট। এমনকী ছিল না কোন সংস্থার ভ্যাকসিন তার নামও। আসল কোভিশিল্ডের থেকে সাইজেও ছোট এই ভ্যাকসিনের ভায়াল। 


যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের দাবি ভ্যাকসিন বের করা হয়নি তাঁদের সামনে। বেশ কয়েকটি সিরিঞ্জ এবং ভ্যাকসিনের ভায়াল আগে থেকেই রাখা ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে যাঁরা এই ভুয়ো ভ্যাকসিনেশনের শিকার হলেন তাঁদের কী হবে? পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার কসবায় দেবাঞ্জনের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ১২০টি ভায়াল উদ্ধার করেন। যার ওপর কোভিশিল্ড স্টিকার মারা। এদিকে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কসবা ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে টিকাকরণ করা হয় বলে জানা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নাম করে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হত বলে পুলিশ সূত্রে খবর।