ডায়মন্ডহারবার: একদিকে ডায়মন্ডহারবারে কলেজছাত্র কৌশিক পুরকায়স্থকে মোষচুরির সন্দেহে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাপস মল্লিক তদন্তে অসহযোগিতা করছেন বলে দাবি পুলিশের। অন্যদিকে, পুলিশ ও সিআইডির ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে নিহত কৌশিকের পরিবার।

 

রবিবার নিহত ছাত্রের বাড়ি যান দুই আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহ রায়। নিহতের পরিবারকে আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন তাঁরা। কৌশিকের বাবা কার্তিক পুরকায়স্থ এদিন ফের একবার পুলিশ ও সিআইডির ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।

কৌশিক আর ফিরবেন না। কিন্তু, কবে ধরা পড়বে বাকি অভিযুক্তরা? দোষীরা শাস্তি পাবে তো? বিচারের অপেক্ষায় নিহতের পরিবার।

 

কৌশিককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা তাপস মল্লিক-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও অধরা এফআইআর-এ নাম থাকা ৮জন। এ প্রসঙ্গেই পুলিশ ও সিআইডির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আইনজীবীরা।

 

অভিযোগ, তৃণমূল নেতার সামনেই তাঁর সাগরেদরা মোষ চুরির গুজবে, নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে কলেজ ছাত্র কৌশিককে। যদিও তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি নাকি নির্দোষ!

 

রবিবার জেরার জন্য তাপস-সহ ধৃত ৬জনকে ভবানীভবনে আনে সিআইডি। তখনই সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তাপস।  এর আগে রবিবার ধৃতদের হেফাজতে নিতে ডায়মন্ডহারবার আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।

 

তারপরই ডায়মন্ডহারবার থানা থেকে ধৃতদের ভবানীভবনে নিয়ে আসে সিআইডি। যদিও সূত্রের দাবি, তদন্তে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করছেন না তৃণমূল নেতা।

 

সিআইডি সূত্রে খবর, শনিবার ডায়মন্ডহারবার থানায় ধৃত তৃণমূল নেতা-সহ ৬ জনে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে সিআইডি। সূত্রের দাবি, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করে চলেছেন তৃণমূল নেতা তাপস। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে।