শান্তিপুর: কালনা থেকে শান্তিপুর যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় অগ্নিগর্ভ শান্তিপুর। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু না হওয়ায় রণক্ষেত্র শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরি ঘাট এলাকা। পুলিশ-জনতা দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাল পুলিশ।


নৌকাডুবির পর ১২ ঘণ্টা পরও কেন শুরু করা গেল না উদ্ধারকাজ? এই প্রশ্ন ঘিরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় শান্তিপুরে। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়।
জনতার ইটের ঘায়ে মাথা ফেটে যায় ২ পুলিশ কর্মীর।

উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের আগুনে পুড়ে যায় একের পর এক লঞ্চ ও নৌকা।

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল।

রাত সাড়ে এগারোটায় গঙ্গায় নৌকাডুবির পর সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু না হওয়ায় উৎকণ্ঠা ক্রমশ বাড়তে থাকে। পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়ে ফেরিঘাটে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকায় শনিবার রাতের দুর্ঘটনার পর কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। ক্ষোভের সূচনা সেখান থেকেই। নৌকাডুবির খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান শান্তিপুরের জোটপ্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য। অভিযোগ, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাঁকে মারধর করা হয়।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সকালে। শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাটে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও রানাঘাটের এসডিপিওকে।
পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক লঞ্চ, নৌকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে তাড়া করলে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হন দুই পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামে কমব্যাট ফোর্স। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল।
কয়েকঘণ্টা খণ্ডযুদ্ধের পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটলে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। যদিও, এত দেরিতে সবকিছু শুরু হওয়ায় বড় প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।