করুণাময় সিংহ, মালদা: বিভিন্ন দোকানে ও মলে বিক্রি হওয়া খাদ্যসামগ্রীর মান খতিয়ে দেখতে হানা দেয় ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্ট। চাঁচল থানার পুলিশ, স্বাস্থ্য আধিকারিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন দোকানে হানা দেন ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। অভিযানে নেমে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া খাদ্য সামগ্রী। একই সঙ্গে একটি মলেও অভিযান চালিয়েছেন তাঁরা। এদিনের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিশীথ মাহাতো, ফুড সেফটি অফিসার আয়েশা খাতুন, চাঁচল হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। 


সূত্র মারফত ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা খবর পান মালদার চাঁচলের বেশ কিছু দোকান দীর্ঘদিন ধরে বিনা লাইসেন্সে ব্যবসা করছিল। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তাঁদের নোটিসও পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও থোড়াই কেয়ার। নোটিস মেলা সত্ত্বেও একইভাবে চাঁচল বাজার ও কলেজ রোডের একটি মলে বিনা লাইসেন্সেই চলছিল ব্যবসা। ফলে এদিন তাঁদের দোকানে আচমকা হানা দেয় খাদ্য দফতর আধিকারিকেরা। দোকান থেকে উদ্ধার হয়েছে শিশুদের খাদ্যসামগ্রী, এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ আরও একাধিক খাদ্য সামগ্রীও পাওয়া গেছে। দোকানদারদের জানানো হয়েছে, লাইসেন্স তৈরি না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখতে হবে। নির্দেশ অমান্য করে যদি এরপরেও বিনা লাইসেন্সে দোকান খোলা হয় তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ফুড সেফটি অফিসার আয়েশা খাতুনের কথায়, 'দীর্ঘদিন ধরে ওই দোকানগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম না মেনেই ব্যবসা করছিলেন। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছিলেন। এই অভিযোগ পেয়ে আমরা ওই দোকানে অভিযান চালাই। বেশকিছু মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।' তাঁর আরও সংযোজন, শিশু খাদ্য বা বেবি ফুড বিক্রির ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। ওই দোকানগুলিতে সেই লাইসেন্সও ছিল না, অথচ দোকানে রমরম করে বেবি ফুড বিক্রি হচ্ছিল। সেই ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। নির্দিষ্ট নিয়ম না মানলে দোকান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মেডিক্যাল অফিসার জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, 'খাদ্য সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে।' গোটা চাঁচল জুড়েই এই ধরনের অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।