হুগলি: শ্রীরামপুরে ফুটবলারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর, তাঁর স্বামী-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু।
জীবন দিয়ে গোলরক্ষা করতেন। সেই তরুণ প্রতিভাবান গোলরক্ষকেরই অকালে জীবনটা চলে গেল। রেল লাইনের উপর মিলল কাটা মৃতদেহ। শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা পোর্ট ট্রাস্টের গোলকিপার স্নেহাশিস দাশগুপ্ত। বি কম সেকেন্ড ইয়ারের এই ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গণ্ডগোল হয় স্নেহাশিসের। যা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। এরপর রাতে এক বন্ধু, দলবল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে স্নেহাশিসকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
এরপর থেকে স্নেহাশিসকে আর দেখা যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। দশমীর সকালে তাঁর দু’টুকরো দেহ মেলে শ্রীরামপুরে মাল গোডাউনের রেললাইনের উপর। মা-বাবার অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী পিন্টু নাগ।
পরিবারের দাবি, নবমীর রাতে যাঁদের সঙ্গে স্নেহাশিসের গণ্ডগোল হয়, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাই। সে কারণেই বাড়িতে ঢুকে হামলা। মৃতের মা বলেন, আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কাউন্সিলের স্বামী দলবল নিয়ে এসে খুন করেছে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী নাগ, তাঁর স্বামী-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে খুন, তথ্য-প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে শেওড়াফুলি জিআরপি।
পরিবার সূত্রে দাবি, স্নেহাশিসের মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি। ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা জামা। এদিকে, কয়েক দিন আগেই, স্নেহাশিসের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের স্ট্যাটাস আপডেটে লেখা হয়েছিল, সবাই আসি.......আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
এই আপডেট স্নেহাশিসই দিয়েছিলেন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।