রায়গঞ্জ: মধ্যযুগে সাপের কামড়ে মৃত স্বামীকে নিয়ে নদীর জলে ভেলা ভাসিয়েছিল বেহুলা। একবিংশ শতকেও ভেসে চলেছে সেই ভেলা!
সাপের কামড়ে মৃত বালিকাকে নদীর জলে ভাসিয়ে দিলেন আত্মীয়-পরিজনেরা। ২০১৭-তেও ভরসা সেই মঙ্গলকাব্যের কাহিনি। ৬ বছর আগে ঠিক যেমনটা ঘটেছিল নদিয়ায়। কুসংস্কারের ছবি এবার ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরে!
বিহারের কাটিহার জেলার দাড়িভিটা গ্রামের বাসিন্দা অনুতে মুর্মু। সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় বছর আটের এই বালিকার। বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ আত্মীয়-পরিজনরা গাড়িতে করে দেহ নিয়ে আসেন রায়গঞ্জের নাগর নদীর পাড়ে। সেখানে কলাগাছ দিয়ে তৈরি হয় সুদৃশ্য ভেলা। তার ওপর নরম বিছানা করে শুইয়ে দেওয়া হয় মৃত বালিকাকে। তারপর নাগরের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ভেলা। নদীর পাড়ে তখন অসংখ্য মানুষের ভিড়।
মৃত বালিকার ভেলায় লিখে দেওয়া হয়েছে নাম... ঠিকানা...মোবাইল নম্বর। আত্মীয়-পরিজনদের আশা, যদি কোনওদিন আসে ভাল কোনও খবর। যুক্তিবাদীরা বলছেন, প্রাণ বাঁচে ওষুধেই, কুসংস্কারে নয়।
রায়গঞ্জের এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে, ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনার কথা। নদিয়ার কোতোয়ালি থানার হরনগরে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রণব মণ্ডলের৷ তাকেও কলার ভেলায় করে ভাসিয়ে দেওয়া হয় জলঙ্গি নদীতে।