পূর্ব মেদিনীপুর: সিন্ডিকেটদৌরাত্ম্য, তোলাবাজদের দাদাগিরির জেরে এ রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করা মুশকিল হয়ে পড়ছে বলে ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে, বুধবার, দিঘায় পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ফের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন,
শিল্পে কোনও রকম জুলুমবাজি চলবে না। তোলাবাজি চলবে না। কেউ সমস্য করলে তার বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাস্তা বা ফুটপাথ দখল করা যাবে না বলেও এর আগে সামগ্রিকভাবে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনের দিঘার বৈঠকেও তিনিই একই সতর্কবার্তা দেন। বুঝিয়ে দেন সিন্ডিকেটের দাদাগিরি বরদাস্ত করা হবে না। বললেন, ফুটপাথে কেউ বসবে না। সব জায়গায় হকারদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় পুনর্বাসনের পর হকার বসিয়ে দিচ্ছে। দুই একজন আছে টাকা নিয়ে বসিয়ে দেয়। পুলিশ হোক বা লোকাল সিন্ডেকেট হোক, বরদাস্ত করা হবে। পুলিশকে কড়া ব্যবস্তা নিতে হবে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল মঙ্গলবারই বণিক সভার অনুষ্ঠানে খোদ অর্থমন্ত্রীর সামনে সিন্ডিকেটের রমরমা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন শিল্পপতি এস কে বিড়লা। বলেছিলেন, সিন্ডিকেট নিয়ে শিল্পপতিদের মনে একটা ভয় তৈরি হয়েছে। এর ঠিক পরের দিনই ফের একবার সিন্ডিকেট-তোলাবাজি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, এতে কাজ হবে তো? খোদ নেতাজির বাড়িতে যেভাবে সিন্ডিকেটের তোলাবাজরা পৌঁছে গিয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি আর হবে না তো?