কলকাতা: ৭ অক্টোবর অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই শপথ নেবেন আরও নবনির্বাচিত বিধায়ক জাকির হোসেন, আমিরুল ইসলাম। ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন তাঁর সঙ্গেই শপথ নেবেন জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জের নব নির্বাচিত দুই বিধায়ক। রাজ্যপাল তাঁদের বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাতের আশঙ্কার অবসান হল।
সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল বা তাঁর মনোনীত কেউ বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন।রীতি অনুযায়ী, বিধায়করা বিধানসভাতেই শপথ নেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে সেই শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ। সম্প্রতি সেই অনুমতি নিয়েই ১২ জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে, সেই অনুমতি সম্বলিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয় রাজভবন।
সোমবার রাজভবনে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যের পরিষদীয় দফতর আবেদন জানায় যে, আগামী ৭ অক্টোবর, বেলা ১২টার আগে বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ নবনির্বাচিত তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়া নিয়ে ফোনে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাতে রাজ্যপালের শপথবাক্য পাঠ করানোর অনুমতির বিষয়টিও ওঠে। সূত্রের আরও খবর, রাজ্যপাল পরিষদীয় মন্ত্রীকে জানান, ৫ অক্টোবর পর্যন্ত উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি রয়েছে। তারপর এ নিয়ে তিনি সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।
পরে এই বিষয়ে একটি ট্যুইটও করেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি লেখেন, সরকার ও বিধানসভার কার্যধারা এবং অনুশীলনে আইনের ভুল ধারণা দৃশ্যতই উদ্ভূত। এখনও উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি রয়েছে। বিষয়টি সঠিক মাধ্যমে আমার কাছে এলে এবং ১৮৮ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হলে, তা করা হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিধানসভায় শপথ নেবেন, তা চিঠি দিয়ে রাজভবনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, রাজ্যপাল যদি রাজভবনে শপথগ্রহণ করাতে চাইতেন, সেক্ষেত্রে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ফের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। এক্ষেত্রে তা আর হচ্ছে না। রাজ্যপাল যদি নিজেই বিধানসভায় এসে নব নির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এটি হবে একটি বিরল ঘটনা।