সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিষয়টি ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে, যাতে স্কুলের শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগের জন্য একটা কেন্দ্রীয় কমিশন তৈরি করা যায়।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিরোধীরা নিয়োগে নিয়ন্ত্রণের কৌশল বলে মনে করছে।
স্কুল শিক্ষকদের একাংশের আশঙ্কা, স্বতন্ত্র কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হলে সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, আগে সংশ্লিষ্ট স্কুল, জেলা পরিদর্শকের থেকে ছাড়পত্র নিয়ে প্রয়োজন মতো শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে পারত। কিন্তু, এক্ষেত্রে গোটা রাজ্যজুড়ে নিয়োগপর্ব হবে। ফলে দেরির আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।
শিক্ষাবিদদের কেউ কেউ বলছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হলে কাছাকাছি নিয়োগের সুবিধা থাকবে না। বরং মেধাতালিকা অনুযায়ী দূরে নিয়োগের সম্ভাবনা থাকবে।
যদিও শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাখ্যা, প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে, কমিশন মারফত এই নিয়োগ হবে জেলাভিত্তিক। এবং এই ভাবনা নিয়োগে স্বচ্ছতা রক্ষার তাগিদে।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এনিয়ে শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা চায় সরকার। তারপরই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।