কলকাতা ও দার্জিলিং: পাহাড়ে বড়সড় নাশকতা ঘটানোর ছক ছিল বিমল গুরুঙ্গ বাহিনীর। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে পাহাড়ে যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।

শুক্রবার সন্ধেয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে কালিম্পং পুলিশ। যে বাড়ির ঘরে ঘরে লুকনো ছিল অস্ত্র ও বিস্ফোরক, পাওয়ার জেল এক্সপ্লোসিভ থেকে ডিটোনেটর, সিঙ্গল ব্যারেল বন্দুক থেকে দেশি পিস্তল, অসম্পূর্ণ পাইপ বোমা, শনিবার সেখানেই পৌঁছয় এবিপি আনন্দ। ওই বাড়ির মালিকের নাম সুমন ছেত্রী।


পুলিশ সূত্রে দাবি, এই অস্ত্র ও বিস্ফোরকের সাহায্যেই কালিম্পং পুলিশের ওপর মরণ-কামড় দিতে চেয়েছিল কোণঠাসা গুরুঙ্গ বাহিনী! নাশকতার জন্য তারা টার্গেট করেছিল কালিম্পং থানা, পেডং আউটপোস্ট এবং ডেলো পার্ককে।

গুরুঙ্গের উদ্দেশ্য ছিল, আইইডি ও আরডিএক্সের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়া। যদিও সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। গুরুঙ্গ বাহিনীর লুকনো অস্ত্র ও বিস্ফোরক ভাণ্ডার এখন পুলিশের হেফাজতে। তদন্তকারীদের অনুমান, উত্তর-পূর্বের জঙ্গি সংগঠনের কাছ থেকেই এগুলি পেয়েছিল গুরুঙ্গ ব্রিগেড।

বিজেপি অবশ্য এর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র দেখছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, সব সাজানো অস্ত্র, কিছুই উদ্ধার হয়নি!

পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, রোশন গিরি, বিমল গুরুঙ্গরা বলছে। ওদের কণ্ঠস্বর বিজেপিরই। যে ধিক্কার ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ওদের বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, যত কম বলা যায় ততই ভাল।

শুক্রবার কালিম্পং থেকে একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এই গাড়ি করেই অস্ত্র পাচার করত গুরুঙ্গ অনুগামীরা। সিটের তলায় ঝুড়ি, বস্তা, বাক্সে লুকনো থাকত অস্ত্র।
পেডংয়ের জঙ্গল থেকে যে দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা।

পুলিশ সূত্রে দাবি, কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সেজন্য বাজারের ব্যাগে করে ওই মহিলা বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র পাচার করতেন।

ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে বাকি অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। হন্যে হয়ে তারা খুঁজছে গুরুঙ্গের ডান হাত দাওয়া লেপচাকে। জিটিএ-র প্রাক্তন এই সদস্য-সহ ৭ জনের নামে ইউএপিএ-তে মামলা রুজু হয়েছে।