বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: বর্তমান বাজার দরে ক্ষতিপূরণের দাবি। গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হল হলদিয়া থেকে পারাদ্বীপ পর্যন্ত LPG গ্যাসের পাইপলাইন পাতার কাজ। যদিও, IOC-র দাবি, সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে।


ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ! হলদিয়ার বাড়সুন্দরায় গ্যাসের লাইন পাততে বাধা স্থানীয়দের!! বিক্ষোভের মুখে বন্ধ হয়ে গেল LPG গ্যাসের লাইন পাতার কাজ! হলদিয়া থেকে পারাদ্বীপ পর্যন্ত LPG গ্যাসের লাইন পাতা হচ্ছে। ২০১৭ সালে এই সংক্রান্ত জমি অধিগ্রহণের নোটিস জারি হয়। 


IOC কর্তৃপক্ষ সেইমতো কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, কোনও নোটিস না দিয়েই কাজ শুরু করা হয়েছে।


এছাড়াও, বর্তমান বাজার দরে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। বাসিন্দাদের দাবি তাদের নোটিস দেওয়া হয়নি ৷




হলদিয়ার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘দালাল এসে বলছে, ১৯ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হবে, আমরা এখনকার রেটে ক্ষতিপূরণ চাই।’’


যদিও, IOC কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। আইওসিএল (পাইপলাইন) অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার শাকিল আহমেদ বলেন, ‘‘যা কিছু হচ্ছে, নিয়ম মেনে হচ্ছে...সেই অনুযায়ী কাজ করছে, গ্রামবাসীরা অন্যায্য দাবি করছে, ওরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কথা বলছি।’’


মহিষাদল, নন্দুকমারে ইতিমধ্যেই পাইপ লাইন পাতার কাজ হয়ে গেছে। সামনেই বর্ষাকাল। তার আগে হলদিয়ার কাজ শেষ না হলে, প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে আরও সময় লেগে যাবে বলেই আশঙ্কা IOC কর্তৃপক্ষের। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আইওসি কর্তৃপক্ষ কোনোরকম নোটিস বা আগাম না জানিয়ে, জমির মালিকদের সম্মতি না নিয়েই তাদের জমির ওপর দিয়ে পাইপলাইন পাতার কাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের এও অভিযোগ,  ক্ষতিপুরণের যে টাকা ধার্য্য হয়েছে তা চার বছর আগেকার দর। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই দাবিতে তারা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কাজ বন্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আইওসি কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, সরকারি নিয়ম মেনেই ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।