প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: নদিয়ার ধুবুলিয়ায় যুবকের রহস্যমৃত্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। মৃতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি। ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। মৃতের পরিবারের দাবি, তিনি রাজনীতি করতেন না। শিয়রে চতুর্থ দফার নির্বাচন!
তার আগে নদিয়ার ধুবুলিয়ায় যুবকের মৃত্যুতে লাগল রাজনীতির রঙ! বৃহস্পতিবার সবে তখন দিনের আলো ফুটেছে। রাতভর না ফেরার পর, সকালে বাড়ি থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে এক লিচুবাগানে উদ্ধার হয় দীপঙ্কর বাড়ুই নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ!
বিজেপির দাবি, মৃত যুবক তাঁদের কর্মী! যদিও, মৃতের পরিবারের দাবি, তাদের বাড়ির ছেলে কোনওদিনই কোনও রাজনৈতিক দল করত না। কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী মহাদেব সরকার জানান, ‘‘আমাদের সক্রিয় দলীয় কর্মী, আমাদের মিছিলে হেঁটেছিল কাল ৷ আজ ওর মৃতদেহ পাওয়া গেছে, আমরা বিক্ষোভ দেখাব, বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, বিরোধীরাই করেছে এই কাজ ৷’’
মৃতের বাবা দীনেশ বারুই জানান, ‘‘গতকাল রাতে কয়েকজন বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়, ও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই ৷ জেলায় জেলায় সুযোগ পেলেই মৃত্যুর মতো দুঃখজনক ঘটনার ক্ষেত্রেও ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে। কটাক্ষের সুরে দাবি তৃণমূলের। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘এটা গরিব পরিবার, বাবা হকারি করে খায়, মৃত্যুর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই৷ ’’
যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এদিকে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো সল্টলেকেও। বিধাননগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারো কপাট এলাকার একটি বহুতলের পাশের একটি পুকুরে এক যুবকের গলা কাটা দেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসীরা। এর পরই খবর দেওয়া হয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়। থানার পুলিশ এসে গলা কাটা এক অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবকের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হত্যার পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়া হয়। এর পরই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় মৃত দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিকস কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় কোনও যুবক নিরুদ্দেশ রয়েছেন কিনা সেই নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। দেহটিকে ময়না তদন্তের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে।