সমীরণ পাল,  উত্তর ২৪ পরগনা: বারাসতের সুবর্ণপত্তনের বাড়িতে বসেই অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ মেরুতে গবেষণার জন্য শিবির করা বিজ্ঞানীদের দলের পাঠানো রেডিও বার্তা রেকর্ড করলেন বাবুল গুপ্ত। ৬৯ বছরের বাবুল গুপ্তর নেশাই হল পৃথিবীর দুর্গম প্রান্তের রেডিও স্টেশনগুলি হদিশ করা। ১০-১২ বছর থেকেই এই নেশায় পেয়ে বসেছিল পেশায় ইন্টেরিওর ডিজাইনার বাবুল গুপ্তকে। গত ৯ অগাস্ট ভোরবেলায় অবশেষে সাধপূরণ। প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বাবুল গুপ্তর হাই ফ্রিকোয়েন্সির রেডিওতে ধরা পড়ল শব্দ তরঙ্গ। সেই শব্দ তরঙ্গ রেকর্ড করলেন তিনি। এ ধরনের শব্দ তরঙ্গ ধরা একেবারেই মুখের কথা নয়। কারণ, এই শব্দ তরঙ্গের অভিমুখ আমেরিকা ও ইউরোপ অভিমুখী থাকে। প্রায় দুই দশক ধরে এই রেডিও স্টেশনটি ধরতে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের উদ্যোগে বাবুল গুপ্ত চাঁদিপুর, মন্দারমণির মতো রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত, নির্জন স্থানে শিবির করে থেকেছেন। উল্লেখ্য, এই ক্লাবের অন্যতম সদস্য বাবুল গুপ্ত।
সেই প্রচেষ্টার ফল অবশেষে পেলেন তিনি। সেই শব্দতরঙ্গ রেকর্ড করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
১৯৬৮-তে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সের ধারাবিবরণী তিনি ধরেছিলেন বুশ ব্যারণ রেডিও-র মাধ্যমে। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ১৯৬৯-এ রেডিও অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে কিউএসএল কার্ড পান তিনি। এভাবে বিভিন্ন রেডিও স্টেশনের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
বিশ্বের বিভিন্ন শর্টওয়েভ রেডিও স্টেশনের এই শব্দ তরঙ্গ ধরার জন্য সারাদিনই চেষ্টা করেন তিনি। বাড়িতে হয়েছে ১২ টি টাওয়ার ও কয়েকটি হাইফ্রিকোয়েন্সি রেডিও। আর তা দিয়েই বাজিমাত্ করলেন বাবুল গুপ্ত।