সুজিত মণ্ডল, হাঁসখালি (নদীয়া): নদিয়ার হাঁসখালিতে যুবকের মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। খুনের অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে প্রতিবেশীকে নামিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন প্রদীপ বিশ্বাস। আজ সকালে বাড়ির কাছে পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। পরে পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খুন, নাকি দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।


জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের বয়স ২৬ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার সনাতনপুর আঁটি গ্রামে। মৃত যুবকের নাম প্রদীপ বিশ্বাস। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ হাঁসখালি থানার গাড়াপোতা কলাতলা বাজার থেকে প্রতিবেশী অসিত বিশ্বাসকে মোটরবাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে প্রতিবেশী অসিত বিশ্বাসকে মোটরবাইক থেকে নামিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় প্রদীপ। এরপর আজ কাকভোরে বাড়ির সামনে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় প্রদীপের দেহ। একইসঙ্গে পুকুরপাড়ে মোটরবাইক পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা।


পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক প্রদীপকে খুন করা হয়েছে। মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও দাবি। এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ কুকুর আনার দাবি তুলে দেহ আটকে রেখে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। দেহ বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিতে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো গ্রামবাসীরা। তবে খুন নাকি দুর্ঘটনা জনিত কারণ? কীভাবে মৃত্যু হল যুবকের?  প্রদীপ বিশ্বাসের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।


মৃত যুবকের দাদা সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, "ঘুম থেকে উঠে দেখি ভাইয়ের বাইক নেই, পুকুরের কাছে দেখি আলো জ্বলছে, খোঁজ করতেই ভাইয়ের দেহ দেখি, আঘাতের চিহ্ন ছিল, খুন করা হয়েছে।" মৃত যুবকের প্রতিবেশী অসিত বিশ্বাসের কথায়, "ওর বাইকে আসি, আমি জানতাম ও বাড়ি গেছে, তারপর দেখি এমন ঘটনা, কী করে হল জানি না।"