কলকাতা: অগ্নিমূল্য বাজার। সব্জি থেকে মাছ। যাই ছুঁচ্ছেন, তাতেই লাগছে ছ্যাঁকা। ভুগচ্ছে সেই মধ্যবিত্ত!
বন্যায় ফসল নষ্টের জেরেই কি বাজার আগুন? নাকি মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে ফঁড়ে-রাজ? প্রশ্ন ক্রেতাদের। কারণ, পাইকারি আর খুচরো বাজারের তফাত দেখলে রীতিমতো পিলে চমকে যাওয়ার জোগাড়।
পাইকারি বাজারে বেগুনের দাম যেখানে ৪০ টাকা, কলকাতার খুচরো বাজারে সেই দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। ৪০টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারো বিকোচ্ছে ঢ্যাঁড়শ। আর খুচরো বাজারে দর ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাইকারি হারে উচ্ছের দাম ৪৫ টাকা কেজি, সেখানে খুচরো বাজারে এক কেজি উচ্ছের দর ৬০-৭০ টাকা। পাইকারি বাজারে লাউয়ের দর ২০ টাকা কেজি। আর শহরের খুচরো বাজারে তার দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ফড়ে রাজের দাপটেই পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারে দামের এতটা ফারাক। শহরের সবজি বিক্রেতারাও বলছেন, বর্ষা নয়, পাইকারি বাজার চড়া হওয়াতেই খুচরো বাজারে আগুন। এমনকী বর্ধমান ও হুগলিতে যেখানে জলের তলায় চলে গিয়েছিল বহু চাষের জমি, সেই সব জায়গার সঙ্গে কলকাতার খুচরো বাজারের সবজির দামে বিস্তর ফারাক।
বর্ধমানে বেগুন ৪০ টাকা কেজি, হুগলিতে ৩০ টাকা কেজি অথচ কলকাতায় ৫০-৬০ টাকা কেজি। বর্ধমানে  ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা কেজি, হুগলিতে ৩০ টাকা অথচ কলকাতায় ৫০-৬০ টাকা কেজি। বর্ধমানে উচ্ছে ৫০ টাকা, হুগলিতে ৪৫ কিন্তু,  কলকাতায় ৬০-৭০ টাকা। বর্ধমান ও হুগলিতে ২০ টাকা কেজি লাউ আর কলকাতায় ৩০-৪০ টাকা কেজি।
অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি টানা বৃষ্টির জেরে সব্জির বাজার আগুন এমনটা নয়, আসল কারণ সেই ফড়ে-রাজ?