কলকাতা :  ‘আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল / পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে, বল হরি বোল।’ এই  ছড়া  প্রতিবার দোলের ( Dol Utsav ) আগের দিন শোনা যেত পাড়ায় পাড়ায়। হইহই করে চাঁচড় পোড়ানো হত। এই চাঁচড় পোড়াই আসলে ন্যাড়াপোড়া। আর এখন হালফিলের নাম হোলিকা দহন। হিন্দিভাষীদের কাছে এই ন্যাড়াপোড়া উৎসবই হোলিকা ( Holika Dahan ) দহন। অশুভ শক্তির বিনাশ করার প্রতীকই এই হোলিকা দহন। তাই এর জন্য আছে শুভ ক্ষণ। 
পঞ্জিকা অনুসারে , এই বছরও মুম্বই, কলকাতা, হায়দরাবাদে হোলিকা দহনের সময় আলাদা আলাদা। অনেক শহরে হোলি উৎসবের ব্যাপারে নির্দেশিকাও জারি করেছে পুলিশ।

হোলিকা দহন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ফাল্গুনী পূর্ণিমার আগের সন্ধেয় শুষ্ক ঋতুর যা কিছু আবর্জনা, যেমন শুকনো ডালপাতা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় কাঠামো। তাতে ধরানো হয় আগুন। 


এবার ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা পড়ছে ৬ ও ৭ মার্চ দুই দিনে। এমন পরিস্থিতিতে হোলিকা দহন কবে, তা নিয়ে ধন্দ অনেকের।  এমন পরিস্থিতিতে, আপনার শহরে হোলিকা দহনের শুভ সময় কখন তা জানা এবং এর শুভ সময় সম্পর্কেও জানা গুরুত্বপূর্ণ।



উজ্জ্বয়িনী - রাত ১২.৪০  - ভোর ৫.৫৬  (৬-৭ মার্চের রাত)
বারাণসী - রাত ১২.৪০  - ভোর ৫.৫৬  (৬-৭ মার্চের রাত)
নতুন দিল্লি- সন্ধে ৬.২৪ - সন্ধে ০৮.৫১  (৭ মার্চ)
মুম্বাই এবং পুনে - সন্ধে ৬.২৪ - সন্ধে ০৮.৫১  (৭ মার্চ)
জয়পুর- সন্ধে ৬.৩১ - সন্ধে ০৮.৫৮  (৭ মার্চ)
কলকাতা- সন্ধে ৫.৪২ - সন্ধে ০৬.০৯  (৭ মার্চ)
রাঁচি -সন্ধে ৫.৫৪ - সন্ধে ০৬.০৯  (৭ মার্চ)
ভোপাল- সন্ধে ৬.২৬ - সন্ধে ০৮.৫২  (৭ মার্চ)
ভোপাল- সন্ধে ৬.২৫ - সন্ধে ০৮.৫৩  (৭ মার্চ)
ভোপাল- সন্ধে ৬.১০ - সন্ধে ০৮.৩৬  (৭ মার্চ)
পটনা - সন্ধে ৫.৫৪ - সন্ধে ০৬.০৯  (৭ মার্চ)
আমদাবাদ- সন্ধে ৬.৪৫ - সন্ধে ০৯.১১  (৭ মার্চ)
হায়দ্রাবাদ- সন্ধে ৬.২৪ - সন্ধে ০৮.৪৯  (৭ মার্চ)


দোল মানেই সবার রঙে রং মেশানো। আনন্দে সবাইকে সামিল করার উৎসব হোলি। এদিন কী কী করলে উৎসব পজিটিভ এনার্জিতে ভরে উঠবে? কী করলে সৌভাগ্য বাঁধা পড়বে আপনার গৃহে ? 



  • দোল উৎসব ( Holi Celebration )  মানেই রাধা ও কৃষ্ণের পুজো। মূর্তি ঘিরে নাচ,গান, ভক্তি প্রদর্শন। এই উপাচার ছাড়া হোলি অসম্পূর্ণ। রঙের উৎসবের আগে বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করুন রাধা কৃষ্ণের ( Radha Krishna )  মূর্তি। রাধা , কৃষ্ণ আমাদের কাছে প্রেমের প্রতীক। বসন্তের রঙে ভেসে যাওয়ার আগে দেব-দেবীর পায়ে নিবেদন করুন রঙ।  এতে গৃহের মঙ্গল হবে।

  • প্রবেশদ্বার বা দরজায় আপনার নাম খোদাই করা আছে কি? অনেকে দোরে ঠিকানা খোদাই করে রাখেন ঠিকই, কিন্তু নিজের নামের প্লেট রাখেন না। মনে রাখবেন বাস্তুশান্ত্র বলছে, হোলির আগে নামের প্লেট লাগালে ইতিবাচক ভাব ফিরে আসে ঘরে। সেই সঙ্গে আসে সৌভাগ্য। হোলির দিন নেমপ্লেটেও দিন ঠাকুরের পায়ে অর্পন করা আবিরের টিকা।

  • হোলি উদযাপনের সঙ্গে মুখ মিষ্টি করাটাও জরুরি।  শুকনো ফল এবং মিষ্টির আয়োজন রাখতে হবে। খাবারের আয়োজনে সঙ্গে রাখুন ঠান্ডাই।  বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিথিদের পরিবেশন করার আগে ড্রাই ফ্রুটস ও মিষ্টি অর্পণ করুন সমৃদ্ধির অধিপতি গণেশকে। সিদ্ধিদাতা গণেশের ছবি সাজিয়ে রাখুন প্রবেশ দ্বারের কাছেই।