কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি ( Recruitment Scam )  মামলায় জেল হেফাজতে থাকা মানিক ভট্টাচার্যর  ( Manik Bhattacharya ) ছেলে সৌভিককে ( Souvik Bhattacharya )  নগর দায়রা আদালতে নিয়ে যাওয়া হল। সেই সঙ্গে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী শতরূপাকে। ইডি সূত্রে খবর, ২ জনেরই জামিনের বিরোধিতা করা হবে। এর মধ্যেই জেল হেফাজতের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শতরূপা ভট্টাচার্য। 


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর, চলতি মাসের ২ তারিখ ইডি-র FIR  খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য। ইডি-র বিশেষ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। জেল হেফাজতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক-পত্নী। 


গত ২২ ফেব্রুয়ারি, আদালতে ইডি দাবি করে লন্ডন-যাত্রা নিয়ে তথ্য গোপন করেছেন মানিক-পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্য। লন্ডনে মানিকের বাড়ি আছে কি না, জানতে এবার বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছে ইডি। এদিন আদালতে ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৭ সালে দু’-দু’বার লন্ডন যান সৌভিক। প্রথমবার ২ মে, দ্বিতীয়বার ৯ জুলাই। ইডি-র দাবি ছিল, বাড়িতে যাচ্ছেন বলে ভিসা-য় উল্লেখ করেছিলেন মানিক-পুত্র। যদিও ইডি-র কাছে এই তথ্য গোপন করেছিলেন সৌভিক। বিচারক জানতে চান, তাতে কি এটা প্রমাণিত হয়, তাঁদের ইংল্যান্ডে বাড়ি আছে? ইডি-র দাবি, বাড়ি না থাকলে, সৌভিক কীভাবে পারপাস অফ ভিজিট রেসিডেন্সিয়াল বলে অভিবাসন দফতরে জানান এবং কেন সেই তথ্য গোপন করা হয়েছিল? আদালতে মানিক-পুত্র দাবি করেন, ২০১৬ সালের অগাস্টে পড়াশোনার জন্য বায়োমেট্রিক রেসিডেন্ট পারমিটে লন্ডনে যান। ২০১৮ পর্যন্ত তাঁকে ভিসার আবেদন করতে হয়নি। যেহেতু রেসিডেন্ট পারমিটে গিয়েছিলেন তাই রেসিডেন্ট রি-এন্ট্রি লেখা হয়েছিল। লন্ডনে তিনি বোর্ডিংয়ে থাকতেন, তাঁদের বাড়ি বা কোনও সম্পত্তি কেনা হয়নি বলে আদালতে জানান মানিক-পুত্র। পাশাপাশি, সৌভিক জানতে চান, কলকাতায় থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁর নামে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হল? জবাবে ইডি-র আইনজীবী জানান, লন্ডনে বাড়ি রয়েছে এবং সেই তথ্য গোপন করেন বলেই সৌভিকের নামে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়। 


কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, অভিবাসন দফতরে দেওয়া সৌভিকের বয়ানের সঙ্গে ইডি-র কাছে দেওয়া বয়ান মিলছে না। সৌভিক প্রথমে লন্ডন-যাত্রার কথা গোপন করার চেষ্টা করেন। এরপর পাসপোর্ট দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে লন্ডন যাত্রার কথা ভুলে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন মানিক-পুত্র। পরে দাবি করেন, পড়াশোনার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন।