সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া: রাজ্যে আরও এক ভুয়ো অফিসারের পর্দাফাঁস। পুলিশের জালে ধরা পড়ল মানবাধিকার সংগঠনের ভুয়ো অফিসার।


হুগলির চুঁচুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রঞ্জন সরকার নামে অভিযুক্তকে। পাশাপাশি, আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত নীল বাতি লাগানো চারটি গাড়ি ও চারটি মোটরবাইক। 


রবিবার রাতে নাকা চেকিংয়ের সময় চুঁচুড়ায় জিটি রোড থেকে এক স্কুটার আরোহীকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খোঁজ মেলে চুঁচুড়ার বাসিন্দা রঞ্জন সরকারের। 


পুলিশের দাবি, এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস খোলেন রঞ্জন। অভিযোগ, কখনও মানবাধিকার সংগঠন, কখনও ভিজিল্যান্স অফিসার পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়। 


নীল বাতি লাগানো গাড়ি ও দেহরক্ষী নিয়ে ওই ব্যক্তি ঘুরতেন বলে অভিযোগ। অফিসে তল্লাশি চালিয়ে গতকাল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব ও ভুয়ো মানবাধিকার সংগঠন চালানো সনাতন রায়চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর চারচাকা গাড়ি থেকে নীলবাতি খুলে দিয়ে সব গাড়ি ও বাইকে প্রেস স্টিকার লাগিয়েছিল ছিল রঞ্জন।


রবিবার রাতে হুগলি মোড়ে রঞ্জনের অফিসে থাকা এক ব্যাক্তিকে প্রেস লেখা একটি স্কুটি সহ আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই সোমবার বিকেলে ঋষিকেশ পল্লির ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। 


পুলিশ জানিয়েছ, কয়েকবছর ধরে একটি বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে ছিলো রঞ্জনের অফিস। সেই অফিসেই আনাগোনা ছিল রঞ্জনের। মাঝেমাঝেই দেহরক্ষী পরিবর্তন করত রঞ্জন। 


একসঙ্গে পুলিশ হানা দেয় চুঁচুড়া পিপুলপাতির কাছে মল্লিকবাটি স্কুলের সামনে রঞ্জনের বাড়িতেও। রঞ্জনের বাড়ি ও অফিস থেকে মোট চারটি দামী চার চাকা গাড়ি ও চারটি বাইক আপাতত পুলিশ আটক করেছে। 


চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি-১ মৌমিতা সাহার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী রঞ্জনের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে।


গতমাসে,  মানবাধিকার কমিশনের সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে গড়িয়ার বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য সাহার বিরুদ্ধে। ধাপে ধাপে  ২ লক্ষ ৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, দাবি করে বাপ্পাদিত্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সৌভিক দেবনাথ নামে রানাঘাটের এক বাসিন্দা।