মোহন দাস, খানাকুল: হুগলির খানাকুলের কিছু জায়গায় জল সামান্য কমলেও এখনও বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। বহু মানুষ ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। আজ কুশালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে দেখা যায়, গবাদি পশু ও মানুষ পাশাপাশি। খানাকুলের কাকনান এলাকা এখনও জলের তলায় রাস্তা। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।  এই পরিস্থিতিতে পানীয় জল ও খাবারের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও প্রশাসনের দাবি, পানীয় জল বা খাবার পর্যাপ্ত সরবরাহ করা হচ্ছে।


জলের তোড়ে আস্ত একটা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। হেলে গেছে আরেকটি পাকা বাড়ি। ভেঙে গিয়েছে গ্রামের দুর্গামণ্ডপ। বাসের অর্ধেকটা জলের তলায়। গ্রামের পর গ্রাম, যেদিকে চোখ যায় শুধুই জল আর জল। বৃষ্টি কমলেও, হুগলির খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতি এখনও ভয়ঙ্কর। রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বর নদের জল উপচে বানভাসি বিস্তীর্ণ এলাকা।


বহু বাড়ির একতলায় জল, কোথাও কোথাও জল প্রায় এক মানুষ সমান। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণশিবিরে। কারও আবার দিন কাটছে পার্শ্ববর্তী উঁচু বাড়ির ছাদে। এরইমধ্যে খাবার ও পানীয় জল নিয়ে শুরু হয়েছে হাহাকার। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু দুর্গতদের দাবি, তা পর্যাপ্ত নয়। এরইমধ্যে, খানাকুলের কুশালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে গ্রামবাসীদের সঙ্গে গাদাগাদি করে রয়েছে গবাদি পশুরাও। বহু এলাকা এখনও বিদ্যুত্‍ বিচ্ছিন্ন। ফলে, সন্ধে নামলেই আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। খানাকুলের কাকনান এলাকায় আস্ত একটা রাস্তা জলের তলায়। ফলে, ওপাড়ে আরামবাগের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাঁশের সাঁকো বানিয়ে কোনওরকমে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


অন্যদিকে, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে জলস্তর কিছুটা কমেছে। দামোদরের বাঁধ টপকে নতুন করে জল ঢোকেনি। তবে এখনও বিভিন্ন গ্রামের বেশ কয়েকটি রাস্তা জলের নীচে। উদয়নারায়ণপুর হাসপাতাল থেকেও জল নেমেছে।  তবে জেলা কৃষি দফতর সূত্রে দাবি, উদয়নারায়ণপুরের ৫ হাজার হেক্টর জমি এখনও জলমগ্ন।  ক্ষতি হয়েছে আমন ধানের চাষ ও সবজি চাষের।জলস্তর কমছে আমতাতেও। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমতায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।