কলকাতা: সিপিএমের শোকজের জবাব দিলেন প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস। জবাবে তিনি জানিয়েছেন, “আমি যা লিখেছি, সেটা আমার গবেষণার বিষয়। তৃণমূলের মুখপত্র থেকে লেখা চাওয়া হয়েছিল বলে দিয়েছি। দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না আমার।’’ যদিও সিপিএম সূত্রে খবর, অজন্তার জাবাবে সন্তুষ্ট নয় দল। অজন্তার জবাবের সব দিক খতিয়ে দেখছে দল, সিপিএম সূত্রে খবর।


সিপিএমের প্রয়াত প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তিনি। তিনি সিপিএমের শাখা কমিটির সদস্য। তৃণমূলের মুখপত্রে তাঁর ধারাবাহিক প্রবন্ধ। চার কিস্তিতে লেখা প্রকাশিত হয় তৃণমূল মুখপত্রে। কলমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা। একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে নজির গড়েছেন সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে নিজের যোগ্যতায়। রাজনৈতিক ইতিহাসে বাঙালি নারী হিসেবে, নিজেকেই অন্যতম সেরা প্রমাণিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনিল বিশ্বাসের কন্যার এমনই লেখনী ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে সিপিএমের অন্দরেও। যা নিয়ে তোলপাড় হয়। পার্টির সদস্য হয়েও কেন তৃণমূলের মুখপত্রে কলম ধরলেন তিনি? সেই প্রশ্ন ওঠে ৩১ নম্বর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। এরপর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয় অজন্তাকে।


এপ্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা আগেই বলছেন, কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফোন তাঁর জীবনের ভাবনা বদলে দিয়েছে। তখন কোভিড আক্রান্ত ছিলেন অজন্তা। পরিবারের আরও একজন আক্রান্ত। তাঁর মা অসুস্থ। তখন ফোন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের খবর নিয়েছেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। যে কোনও অসুবিধায় নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে বলেছেন। সঙ্কটকালে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই ভূমিকায় তখন আপ্লুত রবীন্দ্রভারতীর ইতিহাসের অধ্যাপক অজন্তা। কদিন আগে ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর দরদের কণ্ঠস্বর ঠিক যেন মায়ের মতো।" এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, ‘যা করেছেন মেনে নেওয়া যাবে না, যা করেছেন তা কোনওভাবেই ছোট করে দেখা হবে না, আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগ দেব।’