সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: টাকা ফেরত না পেয়ে ইট ভাঁটা মালিকের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত নিজের স্ত্রীকে বসিয়ে দিয়ে গেলেন পাওয়ানাদার ! ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায় বৈদ্যবাটিতে। আর এই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরাও পড়ে। যা দেখে হকচকিয়ে যান প্রত্যেকেই ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈদ্যবাটি মাটিপাড়ার বাসিন্দা গঙ্গারাম সরকার ইটের ব্যবসা করেন। বৈদ্যবাটি নিমাইতীর্থ ঘাট এলাকার ইট ভাঁটা মালিক শেষনাথ সিং-এর সঙ্গে ইটের কারবার করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাদন দেন দু’মাস আগে। তার স্ত্রী জয়া সরকার করোনা আক্রান্ত হন তিন দিন আগে। চিকিৎসার জন্য টাকা ফেরত চান ইট ভাঁটা মালিকের থেকে। গঙ্গারাম সরকারের দাবি, বেশ কয়েকবার বলা সত্ত্বেও টাকা দেননি শেষনাথ। আজকের তারিখে একটি চেক দিয়েছিলেন ৷ এদিকে যে অ্যাকাউন্টের চেক তাতে টাকা নেই। এই অবস্থায় স্ত্রীর করোনা চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন বলেই এই কান্ড করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মালিকের হোয়াটসঅ্যাপে স্ত্রীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাঠিয়ে টাকা চান। কিন্তু তাও টাকা না দেওয়ায় শেষপর্যন্ত করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে টোটোতে চাপিয়ে নিয়ে সটান হাজির হন ইট ভাঁটা মালিকের বাড়িতে। করোনা আক্রান্তের যখন সেফ হোমে থাকার কথা তখন পাওনা টাকা আদায় করতে তাকে নিয়ে হাজির হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বৈদ্যবাটিতে। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেই বাড়িতে বসে থাকেন। অবশেষে দশ হাজার টাকা পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন গঙ্গারাম। তাঁর অভিযোগ, ইটও দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়নি শেষনাথ সিং। এদিকে শেষনাথের দাবি, তার ইট ভাঁটা বন্ধ রয়েছে। দাদনের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলা সত্ত্বেও এই কান্ড ঘটালো গঙ্গারাম। ইট ভাঁটা লাগোয়া বাড়িতে ছোটো বাচ্চা নিয়ে বাইশজন সদস্য আছে তাদের যদি করোনা হয় তার দায় কে নেবে। একজন করোনা আক্রান্তকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসার পর প্রশাসনের সাহায্য চেয়েও পাননি বলে দাবি ইট ভাঁটা মালিকের। ঘটনায় শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক ও পুলিশে অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি। আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা এরপর সাবান জল ঢেলে ধুয়ে সাফ করে তাঁদের গোটা বাড়ি।