দেগঙ্গা:  উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু। শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে মেয়ের গায়ের রং নিয়ে খোঁটা দিতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। স্বামী-সহ গ্রেফতার দুই।


শোনা যায়, গায়ের রং চাপা বলে ঠাকুর পরিবারে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল কবিগুরুর বৌঠান কাদম্বরী দেবীকে! সেই সময় পেরিয়েছে। কিন্তু, একবিংশ শতকে পৌঁছেও সেই বিড়ম্বনা-মুক্ত হতে পারেনি সমাজ। দেগঙ্গার এক তরুণী গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে ফের উঠে এল এই অভিযোগ। প্রশ্ন উঠল, গায়ের রং কালো! তাই কি বধূ নির্যাতন?

দেড় বছর আগের কথা। দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার বাসিন্দা রবীন সাধুখাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় মিনাখাঁর মিতালি বিশ্বাসের।

গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের সময় পাত্রপক্ষের যাবতীয় দাবি মেটালেও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মন পাননি মিতালি। অভিযোগ, গায়ের রং কালো বলে নিত্য গঞ্জনার মুখে পড়তে হত তাঁকে।

বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, মঙ্গলবার তাঁদের জানানো হয়, মিতালি অসুস্থ। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে তাঁরা দেখেন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মানতে নারাজ পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, খুন করা হয়েছে বছর বাইশের মিতালিকে।

বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে, বধূর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, পণপ্রথার কারণে মৃত্যুর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পলাতক শাশুড়ি।