কিন্তু হাইকোর্টও অনিলবাবুর পাশে দাঁড়ায়নি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ভাগ্য ভাল, যে ছেলেমেয়েরা তাঁকে এখনও পাগলাগারদে পাঠায়নি!
২ বছর আগে অনিলবাবুর স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, তারপর থেকেই তিনি ভীষণ একা। অতএব সঙ্গী চাই। না, বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা নয়, ষাটোর্ধ্ব গিন্নিবান্নি হলেই চলবে। কিন্তু নিষ্ঠুর ছেলেমেয়েরা এই সামান্য চাহিদাতেও বেঁকে বসেছে, জানিয়ে দিয়েছে, এই বুড়ো বয়সে এমন ঘোড়ারোগ চলবে না।
বৃদ্ধের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। তাঁর সঙ্গে থাকেন ছোট ছেলে অপূর্ব পাল। তাঁর মতে, বাবা স্রেফ ঝঞ্ঝাট পাকানোর জন্য আবার বিয়ের বায়না ধরেছেন। তাঁর কথায়, বাবা আর একবার বিয়ে করলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই কিন্তু এই সমাজে এক বৃদ্ধ যদি আচমকা ফের বিয়ে করে বসেন, তবে কথা উঠবেই।
যদিও মনোবিদরা মনে করেন, বয়স যতই হোক, সঙ্গীর কামনা মানুষের মধ্যে খুব স্বাভাবিক। সমাজ এ জন্য কোনও নিয়ম ঠিক করে দিতে পারে না।
হাইকোর্টও অনিলবাবুর আবেদন খারিজ করার আগে জানিয়ে দিয়েছে, যে কোনও বয়সের মহিলাকে বিয়ে করার স্বাধীনতা তাঁর রয়েছে যদিও তারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ। যদি ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা থাকে, তবে তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে পারেন।