সুনীত হালদার, হাওড়া: টানা বৃষ্টিতে হাওড়ার গঙ্গাধর মুখোপাধ্যায় রোডে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল প্রাথমিক স্কুলের ছাদ। গতকাল রাতে বাপু বিদ্যাপীঠের দোতলা বাড়ির টালির চাল ভেঙে পড়ে। করোনা আবহে স্কুল বন্ধ থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় কচিকাঁচারা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই দুর্ঘটনা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।


করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল। তাই গঙ্গাধর মুখোপাধ্যায়  রোডের বাপু বিদ্যাপীঠে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছেন স্কুল শিক্ষকরা। গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবারে দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তার জেরে ভেঙেই পড়ে স্কুলের টালির চাল। শুক্রবার সন্ধে ঘটনাটি ঘটে মধ্য হাওড়ার গঙ্গাধর মুখোপাধ্যায় রোডের একটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলে। বাপু বিদ্যাপীঠ নামে ওই স্কুলে বাংলা এবং হিন্দি মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয়। ওই স্কুলের দ্বিতীয় তলায় টালির ছাদ আছে।


স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাঁশগুলিতে ঘুন ধরে যায়। টানা বর্ষণের কারণে টালির চালের ছাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ক্লাসরুমের বেঞ্চে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় স্কুল পড়ুয়াদের বই খাতা। স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, করোনার জন্য শুধুমাত্র মিড ডে মিল দেওয়ার দিনে স্কুল খোলে। তবে দুর্ঘটনার সময় কোন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে ছিল না। ক্লাস চলাকালীন দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, স্কুলের ছাদ তৈরি করে দিতে উদ্যোগ নিক স্কুল শিক্ষা দফতর।  


এদিকে বৃষ্টি কমলেও জলমগ্ন হাওড়ার ডুমুরজলা এলাকা। দুটি আবাসনের ভিতরে জল ঢুকেছে। একাধিক বাড়িও জলমগ্ন। দেখা গিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। গতকাল থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ফলে পাম্প চালিয়ে জল নামানো সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, দুর্যোগের মধ্যে গতকাল রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে ১০ জনের। মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশু-সহ পাঁচ জনের। তড়িদাহত হয়েছেন ৩ জন। কালিম্পঙে জাতীয় সড়কে ধস। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।