সুনীত হালদার, জগত্বল্লভপুর: হাওড়ার জগত্বল্লভপুরে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু যাত্রীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাসটি পুরাশ থেকে হাওড়ার দিকে আসছিল। জগত্বল্লভপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা হাত লাগান উদ্ধারকাজে।
দুর্ঘটনায় এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্য একটি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির চাকা ফেটে যায়। তখনই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়।
বাসটিকে তোলার জন্য আনা হয়েছে ক্রেন। বাসটিকে নয়ানজুলি থেকে তোলার কাজ চলছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাসটিকে তোলা সম্ভব হবে বলে অনুমান পুলিশের।
চলতি মাসের ২ তারিখ, বারুইপুরের বকুলতলায় নয়ানজুলিতে পিক আপ ভ্যান উল্টে মৃত্যু হয় ৮ পরিযায়ী শ্রমিকের। আহত হয়েছিলেন ১৫ জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, কুলতলি থেকে তামিলনাড়ুতে যাচ্ছিলেন ২৪-২৫ জন শ্রমিক। পিক আপ ভ্যানে চড়ে কলকাতা যাওয়ার পথে, রাত দেড়টা নাগাদ বারুইপুরের সীমানা বাজারের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লাইট পোস্ট ও গাছে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় পিক আপ ভ্যানটি।
এর আগে, গতমাসে জলপাইগুড়ির তোড়লপাড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবোঝাই বাস পড়ে নয়ানজুলিতে। কেউ মারা না গেলেও, আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী।
পুলিশ জানায়, বিকলে চারটে নাগাদ জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি রোড দিয়ে আসছিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস। আচমকাই বিকট শব্দ হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই, রাস্তা থেকে পাল্টি খেয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যাত্রীবোঝাই বাস। দুর্ঘটনাটি ঘটে, তোড়লপাড়ায়।
ঘটনাস্থলে আসে দমকল ও পুলিশ বাহিনী। দুর্ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৫ জন যাত্রী। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার ফলেই ঘটে দুর্ঘটনা। অভিযোগ অস্বীকার করে, খারাপ রাস্তার জন্যই দুর্ঘটনা বলে দাবি করে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা।
তার ঠিক ২ দিন আগে, ভোররাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাঁতরাগাছি ব্রিজ থেকে রেলিং ভেঙে ঝিলে পড়ে যায় একটি লরি। ক্রেনের সাহায্যে ঝিল থেকে লরি তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে সাঁতরাগাছির দিকে যাচ্ছিল খালি লরিটি। সাঁতরাগাছি সেতুতে ওঠার সময় হঠাত্ই নিয়ন্ত্রণ হারায় লরিটি। প্রথমে রাস্তার বাঁদিকের পিলার ধাক্কা মারে। তারপর টাল সামলাতে না পেরে, সেতুর ডানদিকের রেলিং ভেঙে ৪০ ফুট নীচে ঝিলে পড়ে যায় লরিটি।