সুনীত হালদার, হাওড়া: কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর থেকে একের এপর এক ভুয়ো আমলা আর ভুয়ো আধিকারিকের হদিশ মিলেছে রাজ্যে।


ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো সিবিআই অফিসার, ভুয়ো সিবিআই-এর আইনজীবী, ভুয়ো পুলিশ অফিসার, ভুয়ো মানবাধিকার কর্মী, ভুয়ো রেলের পদস্থ কর্তা, ভুয়ো সেনা অফিসারের পর, এবার ভুয়ো ডাক্তার।


মৃত চিকিত্‍সকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিত্‍সা করার অভিযোগে হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে সঞ্জয় কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, জেনারেল ফিজিশিয়ান পরিচয়ে এলাকায় ৭ বছর ধরে চিকিৎসা করছিলেন অভিযুক্ত। সম্প্রতি, কয়েকজন বাসিন্দার সন্দেহ হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানান তাঁরা। 


তদন্তে নেমে মঙ্গলবার সন্ধেয় দক্ষিণ বাকসাড়া এলাকায় অভিযুক্তের চেম্বারে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, বৈধ কোনও পরিচয়পত্র ও নথি দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত। 


উল্টে, অভিযুক্ত যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিত্‍সা করছিলেন, তা একজন মৃত চিকিত্‍সকের।  রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, নকল নথি তৈরি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 


এদিকে, দেবাঞ্জেনের পর পুলিশের জালে রাজ্যে আরেক ভুয়ো আইএএস অফিসার। নদিয়ার কোতয়ালি থানা সূত্রে খবর, সোমবার রাতে নবদ্বীপের একটি বেসরকারি লজে হানা দিয়ে ওই ভুয়ো আইএএস অফিসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের আসল নাম অদ্বৈত আচার্য। অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নাম নিয়ে নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করতেন তিনি। 


কল্যাণীর বাসিন্দা এক যুবকের অভিযোগ, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেন তিনি। শনিবার, রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের উপস্থিতিতে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানান যুবক। ৪১৯, ৪০৬, ৪২০ ধারা প্রয়োগ করা হয়।


দুদিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। সোমবার ধৃতকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে, বিচারক ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।