জলপাইগুড়ি: দু’জনের ছিল প্রেমের সম্পর্ক। পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু, সাত মাস যেতে না যেতেই সব শেষ। পণের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার বেরুবাড়ি।

এখানকার বাসিন্দা বছর বাইশের বিশ্বনাথ রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর ১৯-এর কাকলির। অভিযোগ, বিয়ের পর দু’মাস যেতে না যেতেই টাকা-মোটারবাইক-সহ নানা জিনিসের দাবিতে স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করেন স্বামী। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় তা মাত্রা ছাড়ায়।

গৃহবধূর বাপের বাড়ির দাবি, আর সহ্য করতে না পেরে কাকলি বৃহস্পতিবার তাঁর বাবাকে ফোনও করেন। কাতর আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘বাবা আমাকে বাঁচাও।’ এর কিছুক্ষণ পরেই শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় কাকলি মারা গিয়েছেন। মৃতদেহ রয়েছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে।

শুক্রবার সকালে কোতোয়ালি থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃত গৃহবধূর পরিবার। অভিযুক্ত স্বামী এবং তাঁর বাড়ির লোকজন পলাতক।